বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ-২০১৮ নির্বাচনে সব পদেই জয়ী হয়েছেন বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকরা। নির্বাচনে আই.পি.ই বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম মাসুদ সভাপতি ও পানি সম্পদ কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোস্তফা আলী সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত শিক্ষক প্যানেলের চরম ভরাডুবি ঘটেছে। মঙ্গলবার এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর রাতেই ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
নির্বাচনে সভাপতি পদে দুইজন প্রার্থী এবং সাধারণ সম্পাদক পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। ১৩টি পদে মোট ৪৪৬ জন ভোটারের মধ্যে ৩৮৭ জন ভোট দিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনার হিসেবে পানি সম্পদ কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মতিন দায়িত্ব পালন করেছেন।
সহ-সভাপতি পদে বিজয়ী হয়েছেন পানি সম্পদ কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সাব্বির মোস্তফা খান, কোষাধ্যক্ষ পদে আই পি ই বিভাগের অধ্যাপক ড. নাফিছ আহমাদ, যুগ্ম সম্পাদক পদে নৌযান ও নৌযন্ত্র কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. এন এম গোলাম জাকারিয়া, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে স্থাপত্য বিভাগের তাসনীম তারিক ও আপ্যায়ন সম্পাদক পদে সি এস ই বিভাগের মো. ইফতেখারুল ইসলাম সাকিব।
এ ছাড়া যে ছয়জন সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তারা হলেন, স্থাপত্য বিভাগের ড. মো. আশিকুর রহমান জোয়ার্দ্দার, পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. ইশতিয়াক আহমেদ, কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আলী আহম্মদ শওকত চৌধুরী, গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. খন্দকার ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, যন্ত্রকৌশল বিভাগের ড. এ কে এম মঞ্জুর মোরশেদ ও নৌযান ও নৌযন্ত্র কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মীর তারেক আলী।
ইবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে আ.লীগের ভরাডুবি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচনে (২০১৮) আওয়ামী ও বাম সমর্থিত শিক্ষকদের প্যানেলের ভরাডুবি ঘটেছে। অন্যদিকে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত শিক্ষকদের প্যানেল নিরঙ্কুশ জয়লাভ করেছে।
নির্বাচনে সভাপতি পদে হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানূর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক পদে দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ অলী উল্লাহ নির্বাচিত হয়েছেন।
বুধবার সকাল সাড়ে নয়টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত শিক্ষক সমিতির নির্বাচন অনুষদ ভবনের ৪২৭ নম্বর কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গণনার পর রাত নয়টার দিকে নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. কাজী আখতার হোসেন ফল ঘোষণা করেন।
এ বছর শিক্ষক সমিতি নির্বাচনে দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত শিক্ষকরা বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্যানেল নামে এবং আওয়ামী ও বাম সমর্থিত শিক্ষকরা বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, প্রগতিশীল চেতনায় বিশ্বাসী প্যানেল নামে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে।
নির্বাচনে ১৫টি পদের ১৪টিতে জয়লাভ করেছে বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষক প্যানেল। সভাপতি হিসেবে অধ্যাপক ড. মিজানূর রহমান ১৬৪ ভোট পেয়ে এবং সাধারণ সম্পাদক পদে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ অলী উল্লাহ ১৪৪ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন।
এ ছাড়া সহসভাপতি পদে একই প্যানেলের অধ্যাপক ড. শহীদ মোহাম্মদ রেজওয়ান, যুগ্ম সম্পাদক পদে অধ্যাপক ড. এ. এস. এম. আইনুল হক আকন্দ, কোষাধ্যক্ষ পদে অধ্যাপক ড. মো. আসাদ-উদ-দৌলা (বুলবুল), সদস্য পদে অধ্যাপক ড. মো. আবু সিনা, অধ্যাপক ড. মোহা. তোজাম্মেল হোসেন, অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. মতিনুর রহমান, অধ্যাপক ড. মো. নজিবুল হক, অধ্যাপক ড. নূরুন নাহার, অধ্যাপক ড. মো. ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. রাশেদুজ্জামান, অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও অধ্যাপক ড. মো. জাহিদুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া আওয়ামী প্যানেল থেকে সদস্যপদে শুধু মো. আনিচুর রহমান নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয় ৩৫২ শিক্ষকের মধ্যে ২৯২ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। বৈধ ভোট ছিল ২৯০টি।
নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন অধ্যাপক ড. কাজী আখতার হোসেন। এছাড়াও সহকারী নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন ড. লুৎফর রহমান ও মো. সাজ্জাদুর রহমান টিটু।
rtnn