বিএনপির বুড়ো নেতাদের ওপর বেজায় চটেছেন লন্ডনে পলাতক বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান তারেক জিয়া। বিএনপির তিন নেতার গণমাধ্যমে দেয়া বক্তব্যে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তারেক।
শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, মেজর (অব:) হাফিজ এবং শাজাহান ওমরকে তারেক ‘বুড়ো ভাঁড়’ বলে সম্বোধন করে বলেছেন ‘এদের লাথি দিয়ে বিএনপি থেকে বিদায় করবো।’ আজ বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেন তারেক জিয়া।
এই আলাপে তিনি দলের তিন নেতা ‘পাগল’ হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন। তারেক প্রশ্ন করেন ‘এরা কত পেয়েছে?’ বিএনপির একাধিক নেতা এই তথ্য জানিয়েছেন।
তারেক জিয়া দলের নেতাদের সঙ্গে রুঢ় আচরন করেন। প্রায় ক্ষেত্রেই তিনি দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে চাকর-বাকরের মতো ব্যবহার করেন। মাঝে মাঝে তিনি অনেক প্রবীণ নেতাকে তুই তুকারিও করেন। সেই ধারায় তিনি আজ প্রথমে ফোন করেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্যকে।
তাকে তিনি প্রথমে জিজ্ঞাস করেন ‘খবিশ টা কি এখনো বাইচ্যা আছে?’ প্রবীণ স্থায়ী কমিটির সদস্য একটু বিব্রত হন। জিজ্ঞেস করেন কার কথা বলছেন ‘ঐ যে শাহ মোয়াজ্জেম, ওইটা মরে নাই এখনো…….(নোংরা গালি) কে বিএনপিতে রাখছে।’ এরপর তিনি মেজর (অব:) হাফিজ কে গালাগালি করেন।
বলেন ‘খোঁজ নেন, সে কত টাকা পেয়েছে। ওয়ান-ইলেভেনের সময়ই তো ওর বেইমানি ধরা পরেছিল।’ দলের স্থায়ী কমিটির ঐ প্রবীণ সদস্য বলেন ‘এগুলো আমাকে না বলে, দলের মহাসচিবকে বলেন। আর ক্ষমতা তো আপনার হাতেই। বহিস্কার করে দেন না কেন?’ এই কথার পর ফোনের লাইন কেটে দেন তারেক।
কিছুক্ষন পর ফোন করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামকে। ফখরুলের সাথে তারেকের কথা হয় একটু নরম সুরে। বলেন ‘এরা কি শুরু করেছে?’ ফখরুলও তারেক জিয়ার সঙ্গে একমত পোষন করেন। তারেক জিয়া, জানতে চান এদের কি করা উচিত?
উত্তরে ফখরুল বলেন ‘এরা ইন এক্টিভ। এদের কথার গুরুত্ব দেয়ার কোন দরকার নেই।’ তারেক জিয়া বলেন ‘এদের দলে রেখে লাভ কি?’ ফখরুল বলেন ‘এখন এসব নিয়ে কিছু করার দরকার নেই।’
উল্লেখ্য, বিএনপির তিন ভাইস চেয়ারম্যান সম্প্রতি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে বিএনপির কঠোর সমালোচনা করেছেন। তারা বলেছেন ‘খালেদা জিয়া আপোষ করেই মুক্তি পেয়েছেন।’ এই তিন নেতার বক্তব্যের পর গণভবনে তোলপাড় চলছে।