তিনি নাকি বিশ্বের জনপ্রিয় হলিউড অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলির সবচেয়ে বড় ভক্ত। দাবি করেন, তার মতো জোলির ভক্ত আর কেউ নেই। তাই যে করেই হোক জোলির মতো চেহারা হতে হবে তার। কিন্তু জোলির মতো হতে গিয়ে কী দশাই না হলো ইরানের এ কিশোরীর।
ব্রিটেনের দ্য সান পত্রিকার রিপোর্টে প্রকাশ, অ্যাঞ্জেলিনা জোলির মতো দেখার জন্য প্রথমে ডায়েট শুরু করেন সাহার তাবার নামে ওই কিশোরী। মাত্র ৪০ কেজি ওজন নিয়ে এরপর জিমে যাওয়া শুরু করেন তিনি। অতিরিক্ত ডায়েটের ফলে সাহার ‘আন্ডারওয়েট’ বলে জানিয়ে দেন চিকিত্সক। কিন্তু, কোনো কিছুকেই পাত্তা দেননি ওই কিশোরী। সিদ্ধান্ত নেন জোলির মতো হতে যা করার সবই করবেন তিনি। দুর্বল শরীর নিয়েই ৫০টি অস্ত্রোপচার করান তিনি।
কিন্তু, তাতেও জোলির লুক না আসায় শেষ পর্যন্ত ৪.৫ ফিটের ১৯ বছরের ওই তরুণী কন্ট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার শুরু করেন। তাতেও কাজ হয়নি। ৫০টি অস্ত্রোপচার করিয়ে শেষ পর্যন্ত সাহারের কী অবস্থা হলো তা ছবিতেই প্রকাশ। অস্ত্রোপচারের পর দেখা যায়, অ্যাঞ্জেলিনা জোলি তো দূরে থাক, নিজের আগের রূপের থেকেও ‘কুৎসিত’ হয়ে যায় তার চেহারা।
ইতিমধ্যেই ইরানের ওই কিশোরী সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয় হয়েছেন। ইনস্টাগ্রামে তার ফলোয়ারের সংখ্যা ৩ লাখ ছাড়িয়েছে। ১৪ হাজার লাইকও পড়েছে তার ছবিতে। চলছে কমেন্টের বন্যাও।
তবে সাহারের ওই লুক নিয়ে তাকে সমালোচিতও হতে হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকেই তাকে নিয়ে জোর বিতর্ক জুড়ে দিয়েছেন।
দেখুন ভিডিওতে:
অস্ত্রোপচারের ভুল, ফ্যালোপিয়ান টিউবের বদলে চিকিত্সকরা কেটে দিলেন রোগীর অন্ত্র চিকিত্সকদের ভুল, ভারতের মহারাষ্ট্রের ইয়াভাতমালে স্থানীয় এক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বাচ্চা যাতে না হয়ে সেই অস্ত্রোপচার করাতে গিয়ে মৃত্যু এক মহিলার, আশঙ্কাজনক পাঁচ। এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ইয়াভাতমালের পুসাদ তেহসিলের বেলোর গ্রামে পরিবার পরিকল্পনার জন্যে আর যাতে সন্তান না হয়ে, সেইজন্যে একটি ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছিল। অস্ত্রোপচার করাতে এসেছিলেন গ্রামের মহিলারা।
পুরো অস্ত্রোপচারের দায়িত্বে ছিলেন চিকিত্সক স্বপনীল সাতপুটে। তিনি ভুলবশত রোগীর ফ্যোলোপিয়ান টিউবের বদলে অন্ত্র কেটে বাদ দিয়ে দেন। মৃত্যু হয় এক মহিলার, আশঙ্কাজনক আরও অনেকে। এরপর থেকেই আত্মগোপনে চলে যান ওই চিকিৎসক।
এই ঘটনায় যে মহিলার মৃত্যু হয়েছে তিনি বিধর্বের বারা গ্রামের বাসিন্দা সারদা কালে। ময়নাতদন্তে জানা গিয়েছে ওই মহিলার অন্ত্র কেটে দেওয়া হয়েছিল, ফ্যালোপিয়ান টিউবের বদলে। বেলোরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মেডিক্যাল অফিসার পদে রয়েছেন অভিযুক্ত চিকিত্সক।
জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কে.জে, রাঠৌঢ় জানান, ঘটনাটি সত্য। এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তের দোষ প্রমাণ হলে, কড়া শাস্তির আশ্বাসও দিয়েছেন রাঠৌঢ়।
মৃতের পরিবারকে ২ লাখ টাকা আর্থিক সাহায্যের ঘোষণাও করা হয়েছে।
এই অস্ত্রোপচার ওই একই চিকিত্সকের অধীনে করিয়ে আশঙ্কাজনক আরও পাঁচ মহিলা। চারজন রয়েছেন ওখানকার সরকারি হাসপাতালে। একজন রয়েছেন বেসরকারি হাসপাতালে।
সূত্র: dailynayadiganta