bnp-flag

বিভাগীয় আট শহরে জনসভা করবে বিএনপি

মার্চের মধ্যেই দেশের আট বিভাগীয় শহরে জনসভা করবে বিএনপি। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন- এ দুই দাবিতে জনসভা করার উদ্যোগ নিয়েছে দলটি। ইতিমধ্যে খুলনায় ১০ মার্চ এবং ঢাকায় ১২ মার্চ জনসভার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। বাকি ছয় বিভাগীয় শহরে জনসভার দিনক্ষণ চূড়ান্ত ও পরবর্তী করণীয় নিয়ে আজ শনিবার বিকালে সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী যুগান্তরকে বলেন, ঢাকায় ১২ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে জনসভার অনুমতি চেয়ে পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু যুগান্তরকে বলেন, কেন্দ্র থেকে জনসভা করার কথা জানানো হয়েছে। পরে খুলনা নগরীর শহীদ হাদিস পার্কে ১০ মার্চ জনসভা করার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। জনসভাকে কেন্দ্র করে খুলনা

বিভাগে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। সূত্র জানায়, এখন জনসভা করে জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে চায় দলটি। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবির পাশাপাশি দলটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে জনসভা করার উদ্যোগ নিয়েছে।

দলের স্থায়ী কমিটির এক সদস্য যুগান্তরকে জানান, ক্ষমতাসীন দল নির্বাচনের অনেক আগেই নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছে। তাদের সন্দেহ জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ডিসেম্বরের আগেই হতে পারে। সে ক্ষেত্রে নব্বই দিন আগে তফসিল ঘোষণা করা হবে।

আর এটি করা হলে নির্বাচনী প্রচারণার জন্য সময় কম পাবেন তারা। তাই বিএনপি মার্চের মধ্যে সব বিভাগীয় শহরে জনসভা করার উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, এর মধ্যে যদি বিএনপির চেয়ারপারসনের মুক্তি হয় তাহলে জনসভা হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সরোয়ার যুগান্তরকে বলেন, মার্চের মধ্যেই সব বিভাগীয় শহরে পর্যাক্রমে জনসভা করা হবে। ইতিমধ্যে খুলনা ও ঢাকায় তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।

রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, সব বিভাগীয় শহরে জনসভা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। রাজশাহী বিভাগের এখনও তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। দু-এক দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত হবে বলেও জানান তিনি।

সিলেট বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন বলেন, জেলা মহানগর নেতাদের সঙ্গে বসে জনসভার তারিখ নির্ধারণ করা হবে। যে কোনো কর্মসূচি সফল করতে সিলেট বিভাগ সব সময় প্রস্তুত আছে বলেও জানান তিনি। ময়মনসিংহ বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ময়মনসিংহে বিরোধী নেতাকর্মীরা ব্যাপক নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার। বৈরী পরিস্থিতির মধ্যেও দলের যে কোনো সিদ্ধান্ত বাস্তায়ন করা তাদের দায়িত্ব। জনসভার তারিখ এখনও নির্ধারণ করা হয়নি।

বরিশাল বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিলকিস আক্তার জাহান শিরীন বলেন, এখনও জনসভার তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। ঢাকার জনসভা শেষে এ ব্যাপারে স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে তারিখ নির্ধারণ করা হবে।

চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, জনসভার জন্য প্রস্তুত তার বিভাগ। তারিখ নির্ধারণ করা হলে ইতিহাসের সব চেয়ে বড় জনসভা হবে চট্টগ্রামে।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin