২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির বিনাভোটের প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য আদালত অবমাননা কিনা, এব্যাপরে দেশের সবোর্চ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতির কাছে প্রশ্ন রেখেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
‘আগামী ১৫ দিনের মধ্যে দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে জেলে যেতে হবে’ এই মর্মে স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গার দেয়া এমন বক্তব্য আদালত অবমাননার মধ্যে পড়ে কিনা, এব্যাপারে টুইট বার্তায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এই প্রশ্ন রাখেন।
রবিবার বিকাল সোয়া ৩ টার দিকে এক টুইট বার্তায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এই প্রশ্ন রাখেন। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষায় প্রধান বিচারপতি কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন জনগণ সেদিকে নজর রাখছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
টুইট বার্তায় খালেদা জিয়া বলেন, শুক্রবার, ১৯ জানুয়ারি, পত্রিকায় এসেছে, বিনাভোটের এক প্রতিমন্ত্রী বলেছে, ‘১৫ দিনের মধ্যে খালেদা জিয়াকে জেলে যেতে হবে।’ বিচারাধীন মামলার রায় ঘোষণা আদালত অবমাননা নয়কি? বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষায় মাননীয় প্রধান বিচারপতি কি ব্যবস্থা নিচ্ছেন, জনগণ সেইদিকে সতর্ক নজর রাখছে।
বিশিষ্টজনেরা বলছেন, আদালতের রায় কী হবে সেটা প্রতিমন্ত্রী জানলেন কীকরে? তাহলে খালেদা জিয়ার মামলার রায়ের খসড়া কি তার কাছে? টুইট করে প্রতিমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যের কড়া প্রতিবাদ করলেন খালেদা জিয়া।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় কক্সবাজারের চকরিয়াস্থ জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে উপজেলা ও পৌরসভা শাখার নেতাকর্মীদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেছেন, আপনারা একটু অপেক্ষা করুন। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে জেলে যেতে হবে। প্রতিমন্ত্রীর এ বক্তব্যের পর এনিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
এসময় স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা আরো বলেন, ‘রংপুর সিটিতে বিজয়ের মাধ্যমে জাতীয় পাটি সারা দেশে নতুনভাবে উজ্জীবিত হয়েছে। নেতাকর্মীদের মাঝে আশার সঞ্চার দেখা দিয়েছে।’
চকরিয়া উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আলহাজ গিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও কক্সবাজার শহর জাতীয় পাটির সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় আরো বক্তব্য দেন চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য ও কক্সবাজার জেলা জাতীয় পাটির (এরশাদ) সভাপতি হাজি মোহাম্মদ ইলিয়াছ, জেলা জাতীয় পাটির সাধারণ সম্পাদক মুফিজুর রহমান মুফিজ প্রমুখ।