risvi

বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবারের হরতালে বিএনপির সমর্থন

বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ ও অবিলম্বে বর্ধিত দাম প্রত্যাহারের দাবিতে বৃহস্পতিবার সারা দেশে বাম দলগুলোর ডাকা হরতালে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।

বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমদে এ পূর্ণ সমর্থনের কথা জানান।

বৃহস্পতিবার হরতাল

বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে সিপিবি, বাসদ ও গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা সহ আটটি রাজনৈতিক দল নিয়ে গঠিত জোট আগামী ৩০ নভেম্বর সারাদেশে আধাবেলা হরতালের ডাক দিয়েছে। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জোটের এক সভা শেষে এই হরতালের ডাক দেয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, খুচরা পর্যায়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৩৫ পয়সা বৃদ্ধির প্রতিবাদে আগামী ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সারাদেশে হরতাল আহ্বান করেছে তারা।

এর আগে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন- বিইআরসি বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। সংবাদ সম্মেলনে বিইআরসি জানায়, নতুন এ হার কার্যকর হবে আগামী ডিসেম্বর থেকে। বিকাল ৩টায় কারওয়ানবাজারের বিইআরসি ভবনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

বিইআরসির চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম বলেন, বিদ্যুত বিতরণের খরচ বাড়ায় বিদ্যুতের খুচরা পর্যায়ে মূল্য বাড়ানোর সিন্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রতি ইউনিট (এক কিলোওয়াট ঘণ্টা) বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে গড়ে ৩৫ পয়সা বা ৫ দশমিক ৩ শতাংশ। এ বিল ডিসেম্বর মাস থেকে কার্যকর হবে। তবে বিদ্যুতের পাইকারি (বাল্ক) দাম বাড়ানো হয়নি।

তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে ৫০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুতের ন্যূনতম চার্জ প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বিইআরসির সদস্য মো. মিজানুর রহমান জানান, যদি কোনো গ্রহক বিদ্যুত ব্যবহার না করে তাহলে তাকে ২৫ টাকা বিল দিতে হবে। আগে যেটা ১০০ টাকা দিতে হত। এছাড়াও নির্মাণ কাজে বিদ্যুতের ব্যয় ৫০ শতাংশ কমানো হয়েছে। আর বিদ্যুতের এ দাম বাড়ানোর ফলে সরকারের ১৭শ’ কোটি টাকা আয় বাড়বে বলেও জানান তিনি।

সর্বশেষ ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিদ্যুতের দাম গড়ে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ বাড়িয়েছিল সরকার। তাতে মাসে ৭৫ ইউনিট পর্যন্ত ব্যবহারকারীদের খরচ বাড়ে ২০ টাকা; ৬০০ ইউনিটের বেশি ব্যবহারে খরচ বাড়ে কমপক্ষে ৩০ টাকা। চলতি বছর মার্চে বিভিন্ন খাতে গ্যাসের দাম ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ার পর বিদ্যুতের দাম সমন্বয়ের কথা বলেন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।

এর পর এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন গত সেপ্টেম্বরে বিতরণ কোম্পানিগুলোর প্রস্তাব যাচাই-বাছাই করে শুনানির আয়োজন করে। সেখানে পাইকারিতে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম প্রায় ১৫ শতাংশ এবং গ্রাহক পর্যায়ে ৬ থেকে সাড়ে ১৪ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব আসে।

এর মধ্যে ডিপিডিসি গ্রাহকপর্যায়ে ৬ দশমিক ২৪ শতাংশ, ডেসকো ৬ দশমিক ৩৪, ওজোপাডিকো ১০ দশমিক ৩৬, আরইবি ১০ দশমিক ৭৫ এবং পিডিবি ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin