‘এই দেশের মানুষের সর্বশেষ যে আশ্রয়স্থল ছিল বিচার বিভাগ সেটি নিচ থেকে উপর পর্যন্ত সরকারের দখলে পরিণত হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান দুদু।
বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি (বাকশিস) আয়োজিত শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান ও বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়ার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এ দেশের জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে শুধু মিথ্যা মামলা দেয়া হয়না, তাকে হেনস্থা করার জন্য এমন কোন কাজ নাই যা করা হচ্ছে না। দলের সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে শুধু সাঁজাই দেয়া হয় নাই এখনও তাকে একের পর এক মিথ্যা মামলায় জড়ানো হচ্ছে এবং বিচার করা হচ্ছে।
শামসুজ্জান দুদু বলেন,এ দেশে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে লুটপাট করে। একেবারে বিশঙ্খলা পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে। শিক্ষাঙ্গনে বিরোধী মতের ছাত্র সংগঠন, শিক্ষক সংগঠন অবস্থান করতে পারে না। পেশাজীবিরা যে যেখানে আছে তারা যখনি সরকারের অন্যায় ফ্যাসিবাদী কার্যকালাপের বিরোধীতা করে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়।
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা অভিযোগ করে বলেন, ‘শিক্ষক নেতা সেলিম ভূইয়া, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েলকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে রাখা হয়েছে। এর আগেও সেলিম ভূইয়াকে দীর্ঘদিন অন্যায়ভাবে আটকে রাখা হয়েছিল। কারণ তিনি পেশাজীবীদের রুটি রুজির কথা ভাবেন। সেই কারণেই শিক্ষকদের অভাব অভিযোগ ন্যায্য অধিকার নিয়ে তিনি আন্দোলন করেন।
দেশে বেনামে বাকশালী শাসন ব্যবস্থা চলছে বলে মন্তব্য করে দুদু বলেন, এই বাকশাল ৭৫ সালের বাকশাল না। এই বাকশাল সকল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে শুধুমাত্র আওয়ামী ফ্যাসিবাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত করেছে। এখানে নির্বাচন ব্যবস্থা বলে কিছু নাই।এই দেশে এখন মুক্তচিন্তা এবং ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সংগঠন গড়ে তুললেই মিথ্যা মামলা দেয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ যদি অন্যায়কারীদের দখলে থাকে গণতন্ত্র এবং নূন্যতম ভোটাধিকার না থাকে তাহলে স্বাধীনতার ৪৬ বছর আগে আমরা যে যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম সেটি মিথ্যা হিসাবে চিহ্নিত যাবে।
শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের সভাপতি আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের অতিরিক্ত মহাসচিব জাকির হোসেন, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতা মাইনুল ইসলাম, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, শিক্ষক নেতা সেলিম মিয়া, বংশাল থানা কৃষক দলের সভাপতি আব্দুর রাজি প্রমুখ।
rtnn