risvi

‘বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতনের প্রতিযোগিতায় নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী’

‘বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতনের প্রতিযোগিতায় নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী’ বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ডা এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আতাউর রহমান ঢালী, ডা আবদুল কুদ্দুছ, আবদুস সালাম আজাদ, মুনির হোসেন, আসাদুল করিম শাহীন প্রমুখ।

বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জাল নথির সাজানো মামলায় বিচারের নামে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার বিচার জাতীয়তাবাদী শক্তি ও জনগণ সকল নিপীড়ণ-নির্যাতন সহ্য করে প্রতিবাদে-প্রতিরোধে বাধার বিন্ধ্যাচলের ন্যায় দাঁড়াবে।’

রিজভী অভিযোগ করে বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিঃসন্দেহে এখন আওয়ামী লীগের লাঠিয়াল বাহিনী। আওয়ামী চেতনায় লালিত এই বাহিনীগুলো যেন বিরোধীদলকে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়ার জন্যই সরকার প্রধানের কাছে শপথ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যেন প্রতিযোগিতায় নেমেছে কে কতটা বিএনপি নেতাকর্মীকে নির্যাতন করতে পারে।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে খুশি করতেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্দয়তার সীমা অতিক্রম করছে। আর এর ওপরেই যেন নির্ভর করে তাদের পুরস্কার, পদোন্নতি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিবেকহীনতা এখন জাতি ও জনগণের জন্য সবচেয়ে বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, ‘গতকালও (বুধবার) চলেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অমানবিক গ্রেপ্তারি অভিযান। বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আদালতে হাজিরাকে কেন্দ্র করে অভ্যর্থনা জানাতে আসা বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর ওপর হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক, পিটিয়ে আহত এবং বিএনপি’র সিনিয়র গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের বাড়িতে বাড়িতে হানা দিয়েছে পুলিশ।’

রিজভী বলেন, ‘জনগণের ভোটে সরকার পরিবর্তনের পথ বন্ধ করে দিয়েছে বর্তমান আওয়ামী মহাজোটের সরকার। এই সরকারের সৃষ্ট দুঃশাসনে জনগণ, ভোট, নির্বাচন, নাগরিক স্বাধীনতাকে যাদুঘরে পাঠিয়ে এখন প্রধানমন্ত্রী নিজে সকল নির্বাচনী আইন অমান্য করে সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নৌকায় ভোট চাচ্ছেন। প্রহসন আর কমেডির নানা মাত্রা দেখতে পাওয়া যায় ক্ষমতাসীনদের বড় বড় নেতাদের বক্তব্য-বিবৃতিতে।’

প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ভোট চাওয়ার বক্তৃতায় তিনি নিজে প্রমাণ করছেন যে তার নেতৃত্বাধীন সরকার কতটা বিবেকহীন, স্বার্থপর ও দায়িত্বজ্ঞানহীন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বারবার আদালতে হাজিরা দিতে বাধ্য করতে যে নিষ্ঠুর হয়রানির দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হচ্ছে তা কারো অগোচরে নেই।

তিনি আরো বলেন, এমনিতেই জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার গঠনের ব্যবস্থা বিলীন করে দিয়েছে বর্তমান ভোটারবিহীন শাসকগোষ্ঠী। রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা অন্যায়ভাবে ব্যবহার করে প্রধানমন্ত্রী ভোট চাইবেন আর দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী আদালতে হাজিরা দিতে থাকবেন, এই বৈপরিত্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে জনগণের মনে ক্ষোভের সাইক্লোন বয়ে যাচ্ছে।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin