khaleda_full

বিএনপি ছাড়া এদেশে কোনো নির্বাচন হবে না: খালেদা জিয়া

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, সরকার যদি মনে করে নেতাকর্মীদের জেলে নির্বাচন দেবে তাহলে সে নির্বাচনে আমরা অংশগ্রহণ করব না। কারণ বিএনপি অনেক বড় রাজনৈতিক দল। বিএনপি ছাড়া এদেশে কোনো নির্বাচন হবে না। ২০১৮ সাল হবে গণতন্ত্রের বছর।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্রসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বেগম জিয়া আরো বলেন, বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রাখা যাবে না। বিএনপি নির্বাচনে যাবেই তবে সে নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে।

বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘টাকা জমা নেয়ার পর আজ হঠাৎ (ইনস্টিটিউশন কর্তৃপক্ষ) বললো অনুমতি নেই, তালা লাগিয়ে দিল। এর নাম কি গণতন্ত্র? আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে, ততবার মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছে।’

খালেদা জিয়া বলেন, ‘দেশের পুলিশ খারাপ নয়, আওয়ামী লীগ পুলিশকে খারাপ বানাচ্ছে। পুলিশ নিজেদের কাজ করুক। তবে আমার অনুরোধ, আমার ছেলেদের ধরবেন না। যারা জেলে আছে ছেড়ে দিন।’

তিনি আরো বলেন, ‘পুরো দেশটি আজ কারাগার হয়ে গেছে। আমরা সবাই বন্দি। শুধু শেখ হাসিনা এবং তার ছেলে মুক্ত।’

এসময় তিনি ভারতের প্রশংসা করে বলেন, ‘ভারত আমাদেরকে স্বাধীনতার সময় সাহায্য করেছে। ভারতকে আমরা বন্ধুর মতো দেখতে চাই। বন্ধু হয়ে থাকতে চাই সবসময়।’

পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু আওয়ামী লীগের আমলে হবে না। জোড়াতালি দিয়ে তাড়াহুড়ো করে এই সেতু নির্মাণ করলে কেউ উঠতে যাবে না। কারণ, অনেক ঝুঁকি আছে।’

খালেদা জিয়া বলেন, ‘মানুষের দুঃখের সীমা নেই। তার জন্য আওয়ামী লীগ দায়ী। সে জন্য তাদের চলে যেতে হবে। নতুন যেকোন সরকার আসতে হবে। পরিবর্তন আসতে হবে। সে জন্য একটি নিরপেক্ষ সহায়ক সরকার লাগবে। হাসিনার অধীনে কোনও নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। হবেও না। এ সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলেই তাদের অধীনে ভোট হতে পারবে না। পার্লামেন্ট রেখে কোনও নির্বাচন হবে না।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মানুষকে বিশ্বাস করে না। কারণ, তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি। তারা যতবারই ক্ষমতায় এসেছে, কারও না কারও উপর ভর দিয়ে এসেছে।’

খালেদা জিয়া বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র নেই, বৈধ সরকার নেই, আইনের শাসন, কথা বলার অধিকার নেই। তার প্রমাণ একটু আগে দেখলাম। অনেকদিন ধরে ছাত্ররা আলোচনা সভার প্রস্তুতি নিয়েছে।

অনুমতি দিয়েছে, ভাড়াও নিয়েছে। অথচ হঠাৎ করে হলরুমে তালা লাগিয়ে দিলো। এটা কেমন আচরণ? আজকে দেশ এক ব্যক্তির দখলে।দেশ পিছিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ তার জন্য দায়ী। গুম, খুন বেড়েছে, দ্রব্যমূল্য বেড়েছে। মানুষের অভাবের শেষ নেই।’

ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘তোমরা ঐক্য, ইমান, শৃঙ্খলা ঠিক রাখলে সব কিছু জয় করা সম্ভব। শুধু স্লোগান দিলে হবে না। স্লোগানের ধারা পরিবর্তন করতে হবে। আগের স্লোগান দিলে হবে না সময়ের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী তা পরিবর্তন করতে হবে। তোমরা এগিয়ে চলো। ২০১৮ সাল হবে গণতন্ত্রের বছর।’

ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহসানের সভাপতিত্বে ছাত্র সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ড.আব্দুল মঈন খান, ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান,

যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মুজিবুর রহমান সরোয়ার, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, শ্যামা ওবায়েদ, যুব দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু প্রমুখ।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin