বিএনপি ছাড়ছেন এক ঝাঁক ‘তারকা’ নেতা

দলের কার্যক্রমে হতাশ হয়ে বিএনপির কয়েকজন হেভিওয়েট নেতা দল ছাড়ছেন। যদিও তারা ‘স্বাস্থ্যগত’ কারণে রাজনীতি থেকে নিজেদের গুটিয়ে নেয়ার কথা বলছেন। কিন্তু বিএনপির বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, দলের একের পর হটকারী সিদ্ধান্ত, বিভ্রান্তি এবং দলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা না থাকার কারণে তারা দল ছাড়ছেন।

এর আগেও দলীয় কর্মকান্ডে বিরক্ত হয়ে দল থেকে পদত্যাগ করেছিলেন, মেজর জেনারেল (অব:) মাহাবুবুর রহমান, মোর্শেদ খানসহ বেশ কয়েক জন নেতা। জানা গেছে, এবার বিএনপিতে পদত্যাগের তালিকা আরো দীর্ঘ।

বিএনপির বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ রাজনীতি থেকে অবসরের ঘোষনা দিচ্ছেন। ব্যরিস্টার মওদুদের ঘনিষ্টরা জানিয়েছেন, শরীরিক অসুস্থতা, গুরুত্বপূর্ণ কিছু লেখালেখির কারণে মওদুদ দল ছাড়বেন।

তবে, একাধিক সূত্রে জানা গেছে, দলীয় কর্মকান্ডে বিরক্ত এবং দলে গুরুত্বহীন হয়ে পড়ার কারণেই, মওদুদ রাজনীতি থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ব্যারিস্টার মওদুদ ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিরোধী ছিলেন।

২৭ ডিসেম্বর ২০১৮ তে তিনি দলের মহাসচিব বরাবর চিঠি দিয়ে, নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। এরপর, তিনি দলে নেতৃত্ব পরিবর্তনের পক্ষে সোচ্চার হয়েছিলেন। আর বিএনপির নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা সংসদে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে, ব্যারিস্টার মওদুদ প্রকাশ্যেই তার সমালোচনা করেন।

এরপর থেকেই তিনি নিজেকে দল থেকে গুটিয়ে নিতে শুরু করেন বলে জানা গেছে। সাম্প্রতিক সময়ে বেগম খালেদা জিয়া যে প্রক্রিয়ায় মুক্তির মেয়াদ বাড়িয়েছেন, তাতে মওদুদ ‘হতাশ’ বলে জানিয়েছেন তার কর্মীদের।

সূত্র মতে, মওদুদ এটাও বলেছেন যে, এটা অপমানজনক। এমনকি খালেদা’র মুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি করে যে, জামিনের আবেদন করা হয়, তাতেও তার (মওদুদ) কোন ভূমিকা না থাকায় ক্ষুদ্ধ হয়েই তিনি পদত্যাগের মতো কঠিন পথে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন, বিএনপির একাধিক নেতা।

খালেদা জিয়ার মামলা সংক্রান্ত কার্যক্রমে ভূমিকাহীন হয়ে পরায় রাজনীতি ছাড়ছেন বিএনপির আরেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা খন্দকার মাহাবুব। কিন্তু তারেক জিয়ার নির্দেশে ক্রমশ: তার অবস্থান খর্ব করা হয় তার বদলে মাহাবুব উদ্দিন খোকন, নওশাদ কামল সহ অপেক্ষাকৃত তরুণদের হাতে বেগম জিয়ার মামলার দায়িত্ব অর্পণ করা হয়।

এরপর বেগম জিয়ার বিশেষ বিবেচনায় জামিনের বিষয়টিও তাকে না জানিয়ে করা হয়েছিল। এবার জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদনের ব্যাপারেও তার সাথে পরামর্শ করা হয়নি। এসব কারণে দলে অনাহুত হয়ে পরা এই শীর্ষ আইনজীবী সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, বলে জানা গেছে। শুধু এই দু’জন নন। এদের পথ ধরে, বিএনপি ছাড়ছেন অনেকেই। যাদের প্রধান অভিযোগ, বিএনপি আত্মহননের পথে যাচ্ছে।

সূত্র: বাংলা ইনসাইডার

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin