বিএনপি চালাচ্ছে আইএসআই?

‘বেগম জিয়া গ্রেপ্তার হবার পর তারেক নয়, বিএনপি চালাচ্ছে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’ ভারতীয় দূতাবাসে পাঠানো গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’এর এক প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নিয়মিত পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন এবং তাদের নির্দেশনাগুলোই দলের নেতাদের জানাচ্ছেন। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লন্ডন থেকে তারেক দুটি বক্তৃতা দিয়েছেন। দুটোতেই তিনি ভারতকে আক্রমণ করেছেন।‘

এদিকে গত বৃহস্পতিবার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপির নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন পেশাজীবীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকেও তারেক জিয়া টেলিফোনে দীর্ঘ বক্তৃতা দেন। উপস্থিত পেশাজীবী নেতৃবৃন্দও তারেকের বক্তৃতায় বিব্রত হয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বৈঠকে উপস্থিত একজন পেশাজীবী নেতা বলেছেন, ‘হাইকোর্টের আদেশ আছে যে তারেক জিয়ার কোনো বক্তব্য প্রচার করা যাবে না। এখন হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করায় যদি আমাদের বিরুদ্ধে মামলা হয় তাহলে কী হবে?’ ওই নেতা বলেন‘ তারেক সাহেবের বক্তৃতাবাজি করার কি দরকার? তারচেয়ে তিনি ব্যক্তিগতভাবে মহাসচিব বা সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন।’

অন্য একজন পেশাজীবী বলেন, ‘আগে দেখতাম আইএস বা অন্য জঙ্গি সংগঠনের নেতারা গোপন স্থান থেকে বক্তৃতা দিচ্ছেন। এখন দেখছি তারেকও একই কাজ করছেন।’ তিনি প্রশ্ন করেন,‘ বিএনপি কি তাহলে গোপন বা জঙ্গি সংগঠন?’

বাংলা ইনসাইডার

‘মামলা চালাতেই সারা জীবন যাবে’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের নীলনকশা অনুযায়ী বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদের মামলায় জড়ানো হচ্ছে। এভাবে মামলা হতে থাকলে মামলা চালাতেই সারা জীবন শেষ হয়ে যাবে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল একথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, একটা নীল নকশা, সেই নীল নকশা কী? বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য করা। বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপি যেন আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারে সেই ব্যবস্থা করা।

বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, একটা মামলাকে ভেঙে দুইটা করা হয়েছে। বিস্ফোরকের জন্য একটা মামলা, ভাংচুরের জন্য আরেকটা মামলা। অর্থাৎ বিরোধীদল যারা করবে তাদেরকে এই মামলা করতে করতেই সারাটা জীবন চলে যাবে, মৃত্যুবরণ করতে হবে তো এই মামলা ফেইস করতে করতে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনারা লক্ষ্য করে দেখবেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আমরা যে কর্মসূচিগুলো দিচ্ছি, সেই কর্মসূচিগুলো একেবারেই শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক কর্মসূচি। কিন্তু সরকার সেগুলো করতে দিচ্ছে না।

বিএনপি মাহসচিব অভিযোগ করেন, ‘সারাদেশে নাশকতার কথা বলে নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত সাড়ে চার হাজারের বেশি নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান বরবত উল্লাহ বুলু, আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ।

বাংলা ইনসাইডার/

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin