kader_photo

বিএনপি কী এমন কাজ করেছে জনগণ তাদের ভোট দেবে?

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি বলুক কী এমন কাজ তারা করেছে, যা দেখে জনগণ ভোট দিয়ে নির্বাচনে তাদের জয়ী করবে।সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শ্রীনগর উপজেলা বাজার এলাকায় বেইলি ব্রিজের কাজ পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনে আসা না আসা বিএনপির গণতান্ত্রিক অধিকার, সরকারের দয়া নয়। নিজেদের এ অধিকার তারা নিজেরাই প্রয়োগ করবে।

মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া গ্রেফতারের পর যখন কারাগারে গেলেন, বিএনপি তখন ভেবেছিল সারা দেশে আন্দোলনের জোয়ার আসবে। কিন্তু কোথাও কোনো আন্দোলন হয়নি। খালেদা জিয়া যখন জেলে গেলেন, সেই সময়ও তারা আন্দোলন করতে পারেনি। জনগণ যখন নির্বাচনের মুডে, তখন আন্দোলনের ডাকে জনগণ সাড়া দেবে এটি দুঃস্বপ্নের নামান্তর।‘দেশের মানুষ তাদের আন্দোলনে ৯ বছরে সাড়া দেয়নি, ৯ মাসেও দেবে না। বিএনপির রাজনীতি এখন ভাঙা রেকর্ড বাজানোর মতো,’ বলেন সেতুমন্ত্রী।

আগামী নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের জয় হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সারা দেশে কয়েকটি জায়গায় জনসভা করেছেন। এসব জনসভা বিশেষ করে ফখরুল সাহেবের বাড়ি ঠাকুগাঁওয়ে যেভাবে লোক সমাগম হয়েছিল স্বাধীনতার পর তা কখনও হয়নি। চাঁদপুরে সর্ববৃহৎ জনসভায় যে উপস্থিতি হয়েছে, তাতে প্রমাণ হয় আগামী নির্বাচনেও জনগণ আওয়ামী লীগের নৌকাকে নির্বাচিত করবে।কাদের বলেন, চাঁদেরও কলঙ্ক থাকে, আওয়ামী লীগ তো একটা সরকার, আমাদের ভুলত্রুটি কিছু থাকতেই পারে। আমাদের কাজ জনগণের কাছে দিবালোকের মতো পরিষ্কার।

আরো পড়ুন >> বিএনপি আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ দল : ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গঠনতন্ত্রের ৭ ধারা তুলে দিয়ে বিএনপি মেনেই নিয়েছে, তারা আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ দল।বুধবার সকালে সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে সেতুমন্ত্রী বলেন, নৈতিকতার দিক দিয়ে খালেদা জিয়া বিএনপির প্রধান থাকতে পারেন না। তিনি দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত হয়েছেন। রাতের আঁধারে তারা তাদের গঠনতন্ত্রের ৭ ধারা পরিবর্তন করেছেন। সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচনকালীন সরকার হবে।

প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের প্রশ্নই আসে না। প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে দেশ চালাবে কে?‘মানুষ এখন আন্দোলনের মুডে নেই, ইলেকশন মুডে আছেন। লিপ সার্ভিস (কথা বলে) দিয়ে ভোট পাওয়া যায় না। উন্নয়ন দেখাতে হয়। আমরা সেটি দেখিয়েছি। বিএনপির এমন কোনো অর্জন নেই যে, তারা মানুষের কাছে ভোট চাইবে’, বলেন ওবায়দুল কাদের।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে সংবিধানে যা আছে, সেভাবেই সরকার গঠন হবে। সংবিধান পরিবর্তন ও সংশোধনের সুযোগ নেই।

বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হচ্ছে না, এ ধরনের অভিযোগ অবান্তর। তারা প্রতিনিয়তই সভা-সমাবেশ করছেন। গতকালও তারা বিজয় দিবসের শোভাযাত্রা করেছেন। যানজট হবে বলে সেটি আমরা করিনি। অনুমতি না দিলে তারা কীভাবে করলেন? বিএনপিকে নিয়ে আমরা আসলেই বেকায়দায় আছি। সভা-সমাবেশের অনুমতি দিলে বলে- অনুমতি দিতে সরকার বাধ্য হয়েছে। আর অনুমতি না দিলে বলে- দেশে গণতন্ত্র নেই, গণতন্ত্র হরণ করা হয়েছে। আপনারাই বলুন, আমরা কী করি বিএনপিকে নিয়ে।

আগামীকাল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হবে কিনা এ প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটি ডিএমপি কমিশনারের ব্যাপার। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন আমাদের পার্টি অফিসের সামনে জড়ো হইতেও দেয়নি।সম্প্রতি জার্মানির একটি গবেষণা সংস্থা বাংলাদেশকে স্বৈরতান্ত্রিক দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা ওই সংস্থার বিষয়ে তথ্য এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করেছি। এখন আমরা এটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছি। জাতিসংঘ যখনই বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা দিতে যাচ্ছে, তখন এ ধরনের রিপোর্টের উদ্দেশ্য কী, তা আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছি।

jugantor

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin