দেশের চলমান সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করতে বিএনপির সিনিয়র নেতারা ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয় গুলশানে মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় এক ঘণ্টা এ বৈঠক হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, কূটনীতিকরা বরাবরের মতো এবারও প্রশ্ন করেন, বিএনপি কি নির্বাচনে যাবে? জবাবে বিএনপি নেতারা প্রতিবারের মতো একই জবাব দেন। তারা বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ নেই। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড, সংসদ ভেঙ্গে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েনসহ তাদের শর্তগুলো পূরণ হতে হবে।
জানা যায়, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে বিএনপির পক্ষ থেকে কূটনীতিকদের জানানো হয়, বিএনপি এবং খালেদা জিয়াকে নির্বাচনের বাইরে রাখতে সরকারের ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে।
সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে অন্যায়ভাবে তাকে নির্জন কারাগারে আটকে রেখেছে। তার জামিন নিয়ে টালবাহানা করছে সরকার। সারাদেশে নেতা-কর্মীদের পাইকারিহারে গ্রেফতার করা হচ্ছে। গত কয়েক দিনে প্রায় চার শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সংলাপ সমঝোতার দাবিকে প্রধানমন্ত্রী নাকচ করে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা করতে চাচ্ছেন।
বৈঠকের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের কিছু বলেনি বিএনপি। বৈঠকে জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরয়সু ইজুমি, নেদারল্যান্ডসের লিওনি মার্গারেথা কিউলেনারি ও নেপালের ড. চোপলাল ভূসাল ছাড়াও ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনারসহ যুক্তরাস্ট্র, জার্মানি, ভারত, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, স্পেন, ডেনমার্ক, সুইজারল্যান্ড, মরক্কো, সৌদি আরব, থাইল্যান্ড, ফ্রান্স, তুরস্ক, কুয়েত, ভ্যাটিকান সিটি, ভিয়েতনামসহ ২০টির বেশি দেশের কূটনীতিক ও দাতা সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন। বৈঠকে বিএনপি নেতাদের মধ্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ড. খখন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আব্দুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, তাবিথ আউয়াল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ইত্তেফাক