রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন বিএনপি প্রার্থী কাওসার জামান বাবলা। বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে নয়টার দিকে মাহীগঞ্জের দেওয়ানটুলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোট দেন তিনি।
ভোট দিয়ে বেরিয়ে আসার পর বাবলা অভিযোগ করেন, ‘কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে আমার পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে।’ তবে কোন কোন কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে সেগুলোর নাম জানাতে পারেননি তিনি। এছাড়া রাতে শহীদুল নামে বিএনপির এক নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তবে এখন পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ ভালো আছে বলে জানান বিএনপি প্রার্থী। এভাবে ভোটগ্রহণ চললে ভালো ফলাফলের আশা করেন তিনি। এর পাশাপাশি শেষ পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু থাকবে কি না সে ব্যাপারে শঙ্কা প্রকাশ করেন বাবলা।
এর আগে সকাল আটটায় রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে বিকাল চারটা পর্যন্ত। সকাল পৌনে ১০টার দিকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কেন্দ্রগুলোতে ভোটারের উপস্থিতি বাড়তে শুরু করেছে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতি আরও বাড়বে বলে মনে করছেন নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা।
নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন আওয়ামী লীগের সরফুদ্দীন আহমেদ ঝন্টু (নৌকা), জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা (লাঙ্গল), বিএনপির কাওসার জামান বাবলা (ধানের শীষ), বাসদের আবদুল কুদ্দুস (মই), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এ টি এম গোলাম মোস্তফা বাবু (হাতপাখা), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সেলিম আখতার (আম) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ (হাতি)।
ঢাকাটাইমস
‘বোতামে টিপতো দিলাম, ভোট পেল কিনা জানি না’
প্রথমবারের মতো রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ভোট হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল আটটা থেকে ভোট শুরু হয়েছে, চলবে একটানা বিকেল চারটা পর্যন্ত।একমাত্র কেন্দ্র হিসেবে ২৫ নং ওয়ার্ডের বেগম রোকেয়া সরকারি কলেজে ইভিএমের ছয়টি বুথে ভোট হচ্ছে। সেখানে ভোট দিয়ে ইয়ারন নামের এক নারী বলেন, ‘আমি পড়াশোনা জানি না। তাই এই পদ্ধতিটা আমার কাছে কঠিন। এটা শিক্ষিত মানুষের জন্য। তবে আগের চেয়ে সময় কম লাগে।’
তিনি বলেন, ‘বাবা, আমাদের মত মূর্খ মানুষের জন্য নয় মেশিন ঠিক না। ভেতরে কয়েকজন সাহায্য করল। পছন্দের মার্কার বোতামে টিপ দিয়েছি। কিন্তু, আমি যাকে ভোট দিলাম, তিনি পেলেন কিনা আমি জানি না।’
ইভা নামের আরেক ভোটার বলেন, ‘এটা খুবই সহজ পদ্ধতি। ভোট দিয়ে ভাল লেগেছে। মনে হলো, এই পদ্ধতিতে জাল ভোট দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
ভোটার নুরুল ইসলাম জিহাদী তার অনুভূতি প্রকাশে বলেন, ‘এটা একটা ভাল পদ্ধতি, কোনো ঝামেলা নেই। তবে ভোটের আগে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিলে ভালো হতো। তবে গ্রামের মানুষ ধীরে এটাতে ধাতস্ত হয়ে যাবে।’
আব্দুস সামাদ বলেন, ‘খুব ভাল লাগছে মেশিনে ভোট দিয়ে। আগে কাগজ-কালি নিয়ে অনেক কষ্ট হতো।’ এই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কমর্কর্তা আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘ইভিএমে ভোটের কারণে কাউকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে না।’
তিনি জানান, সকাল থেকে পৌনে দুই ঘণ্টায় ২১০টি ভোট পড়েছে। এই কেন্দ্রে মোট ভোটার ২০৫৯ জন।
ইভিএমের সিনিয়র মেনটেইনেন্স ইঞ্জিনিয়ার মো. আশরাফ হোসেন বলেন, ‘খুব ভালভাবেই ভোটাররা ভোট দিতে পারছেন। কোনো সমস্যা যাতে না হয়, সেজন্য আমরা সহায়তা দিচ্ছি।’
উৎসঃ poriborton