বিএনপি-আ.লীগের পাল্টাপাল্টি কঠোর হুঁশিয়ারি, কী ঘটতে যাচ্ছে রাজনীতিতে

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়েছে ৮ ফেব্রুয়ারি। এছাড়াও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটিও শেষ পর্যায়ে। যুক্তি উপস্থানের জন্য ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি এবং ১ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছে আদালত।

এ নিয়ে রাজনীতি এক ধরনের উত্তাপ তৈরি হয়েছে। সরকার ও বিরোধী পক্ষে চলছে বাক-বিতণ্ডা। আর এ রায়কে ঘিরেই ফের রাজনৈতিক অঙ্গন অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা যাচ্ছে। নেতাদের বক্তব্যে তেমনটাই আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

সরকার পক্ষের নেতারা বলছেন আদালতের কর্মকান্ডে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই। খালেদা জিয়ার সাজা হলেও তাদের কিছুই করার নেই। এক্ষেত্রে রাজনীতির প্রতিহিংসার কোনো যোগসূত্র নেই।

তবে ১৯ জানুয়ারি সন্ধ্যায় কক্সবাজারের চকরিয়ায় জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে মতবিনিময় সভায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেছিলেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে যেতে হবে।

এছাড়া ২১ জানুয়ারি তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মামলার রায় আগামী দুই তিন মাসের মধ্যে হবে। রায়ে তিনি সাজাও পেতে পারেন আবার বেকসুর খালাসও পেতে পারেন। তবে আমার ধারণা তার সাজা হবে। খালেদা জিয়ার সাজা হলে একদিনের জন্য হলেও তাকে জেলে যেতে হবে। সাজার পরে বেগম খালেদা জিয়া যদি উচ্চ আদালত আপিল করেন আর হাইকোর্ট যদি বেগম খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে তাহলে তিনি আগামী নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে পারবেন।

তাদের এমন বক্তব্য নিয়ে দেশব্যাপী আলোচনার ঝড় ওঠে। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই ব্যাপক প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে।

বেগম খালেদা জিয়া নিজেও প্রতিমন্ত্রী রাঙ্গার এ বক্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করেন। ২১ জানুয়ারি এক টুইট বার্তায় খালেদা জিয়া বলেন, ‘শুক্রবার, জানুয়ারি ১৯, পত্রিকায় এসেছে, বিনাভোটের এক প্রতিমন্ত্রী বলেছে, ১৫ দিনের মধ্যে খালেদা জিয়াকে জেলে যেতে হবে। বিচারাধীন মামলার রায় ঘোষণা আদালত অবমাননা নয়কি? বিচারবিভাগের স্বাধীনতা রক্ষায় মাননীয় প্রধানবিচারপতি কী ব্যবস্থা নিচ্ছেন, জনগণ সেইদিকে সতর্ক নজর রাখছে।’

অন্যদিকে বিএনপি নেতারা জোর গলায় বলছেন, সরকার প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে এ মামলা রায় তড়িত করেছে। তারা এও বলছেন, সরকারের হস্তক্ষেপ না হলে এ মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। খালেদা জিয়ার আইনজীবীরাও বলছেন, এ মামলায় তিনি সম্পূর্ণভাবে খালাস পাবেন। কেননা, দুদক যেসব যুক্তি ও তথ্য প্রমাণ উপস্থাপন করেছে সেসবের কোনো ভিত্তি নেই।

এদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল বলেছেন, তারা যেসব তথ্য-প্রমাণ ও যুক্তির মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন তাতে খালেদা জিয়ার সাজা হবে।

বৃহস্পতিবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল বলেছেন, ২ বছরের অধিক সাজা হলে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনে অযোগ্য হবেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সনসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর বকশিবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান এ দিন ধার্য করেন।

এদিন আদালত শুরু হয় বেলা ১১ টা ৪০ মিনিটে। ব্যবসায়ী সরফুদ্দিন আহমেদ ও সাবেক সাংসদ সালিমুল হকের পক্ষে আইনজীবী যুক্তি উপস্থান শেষ করার পর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাত্র ৫-৭ মিনিটে যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন।

এরপর খালেদা জিয়ার আইবজীবী অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন বক্তব্য দিতে উঠেন। তিনি বক্তব্য শেষ করার জন্য পরবর্তী সময় চান। কিন্তু আদালত তা নাকচ করে দিয়ে ৮ ফেব্রুয়ারি রায়ের তারিখ ঘোষণা করে আদালতের কার্যক্রম শেষ করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। এতিমের অর্থে নিজের ছেলেদের নামে ট্রাস্ট করেছেন। তার মতো একজনের কাছে এ সামান্য অর্থ আত্মসাৎ করাটা অনেক লজ্জার।

তিনি বলেন, এ মামলায় আমরা সর্বোচ্চ সাজা(যাবজ্জীবন) সাজা প্রত্যাশা করছি। তবে দুই বছরের অধিক সাজা হলেই নির্বাচনের অযোগ্য হবেন তিনি।

এদিকে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, সাধারণ এ মামলা প্রথম থেকেই খারিজ হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু এখানে রাজনৈতিক প্ররোচনা আছে। তবু আমরা আদালতের কাছে ন্যায় বিচার আশা করি।

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, যে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে তা ভ্রান্ত। এটি সরকারি কোনো অর্থ না। কুয়েতের আমির জিয়াউর রহমানের নামে এতিমদের জন্য দিয়েছিলেন। দুই কোটি টাকা বেড়ে এখন ৬ কোটি হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া ঐ টাকা কখনো দেখেনওনি, ব্যাংক একাউন্টও কোথায় তিনি তাও জানেন না। অথচ এ মামলার আসামী খালেদা জিয়া!

তিনি বলেন, আমরা আদালতে গিয়ে যুক্তিতর্ক শুনে বুঝি যে, এ মামলায় বেগম খালেদা জিয়া এবং অন্যদের কোনো সাজা হবে না। তারপরও যেহেতু সরকার অবৈধ। জনগণের মতামতকে তোয়াক্কা করে না, সে কারণে সরকারের উদ্দেশ্য খারাপ! ৮ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণা দিবে। সরকার চায় আমাদেরকে সাজা দিয়ে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে আর নির্বাচনহীন অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে। কিন্তু সভ্য মানুষ হিসেবে আমাদেরকে এর বিরুদ্ধে প্রস্তুত থাকতে হবে। যেকোনো পরিবেশে আমরা দলকে শক্তিশালী করে ঐক্যবদ্ধ থাকবো।

এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ অন্য আসামীরা হলেন- তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় একটি মামলা করে দুদক।

২০১০ সালের ৫ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

এছাড়া, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় আরও একটি মামলা করে দুদক।

এ মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য ৩০ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন একই আদালত।

চ্যারিটেবল মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

এ মামলায় আরো যারা আছেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (পলাতক), হারিছের তখনকার একান্ত সহকারী সচিব ও বিআইডব্লিউটিএ’র সাবেক নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

খালেদা জিয়ার সাজা হলে দেশে আগুন জ্বলবে: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাজা হলে দেশে আগুন জ্বলবে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের এক আলোচনায় রিজভী একথা বলেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কোনো অশুভ ধরা পড়লে, সারা দেশে আগুন জ্বলবে।

রিজভী আরো বলেন, ৭৫ সালে যেভাবে গণতন্ত্রকে কবর দিয়ে বাকশাল কায়েম করা হয়েছিল, ঠিক সেইভাবে একই কায়দায় তার কন্যা দেশ পরিচালনা করছে। বর্তমানে সারা দেশে খুন গুম মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি চলছে। প্রতিদিনিই দেশে চলছে বাকশালী কায়দায়, পুলিশ বাণিজ্য করছে।

খালেদা জিয়ার এই মামলা নিয়ে বিএনপি ভীষণ উদ্বিগ্ন। কারণ দুই বছরের সাজা হলে বিএনপি নেত্রী নির্বাচনের জন্য অযোগ্য হয়ে যাবেন।

এদিকে সকালে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, এই মামলার রায় সরকার আগেই লিখে রেখেছে। আর বিচারের নামে চলছে প্রসহন।

ফখরুল বলেন, এই অবৈধ সরকার পূর্বেই রায় লিখে রেখেছেন। তবে এই বিচারের প্রহসনের কোনও প্রয়োজন ছিল না। দেশে যে আইনের শাসন নেই-ন্যায়বিচার সুদুর পরাহত সেটাই প্রমাণিত হলো। বিচার হবে প্রধানমন্ত্রী যা চাইবেন তাই।

বুধবার জাতীয় সংসদে নাগরিক সমাজের সদস্যদের আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যেরও সমালোচনা করেন রিজভী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেভাবে সুশীল সমাজকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করছে, বেগম জিয়া তা কখনও এভাবে মানুষের সাথে খারাপ ব্যবহার করে নাই।

বিএনপি নেতা রিজভী আহমেদ বলেছেন, আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের কাছে শিক্ষার কোনো দাম নাই। শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফেলছেন। বর্তমানে গাধারা দেশ শাসন করছে, এখন পুরো দেশটাকে গাধা বানানোর চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগ সরকার।

আয়োজক সংগঠন বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের সহ-সভাপতি মাহমুদুল হাসান শামীমের সভাপতিত্বে আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সভাপতি সাইদুর রহমান, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমাতুল্লাহ, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।

এ নিয়ে রাজনীতি ফের অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা অনেকের। ফলে দেশবাসীর মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়েছে।

রায়ের পর সন্ত্রাসী কার্যক্রম করলে প্রতিরোধ করবে জনগণ: কদের
তবে বিএনপি চেয়ারপরসন বেগম খালেদা জিয়ার মামলার রায়ের পর সন্ত্রাসী কার্যক্রম করলে প্রতিরোধ করবে জনগণ এই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার ধানমন্ডির দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

এসময় তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মামলার রায় নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বিএনপি। তদের নেতাকর্মীদের বক্তব্যে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, আদালতের বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোন হস্তক্ষেপ করে নি সরকার।আর কখনো করবেও না। যদি এই রায় নিয়ে দেশে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়, দেশে সন্ত্রাসের কার্যকলাপ করা হয় তাহলে জনগণকে সাথে নিয়ে আমরা তা প্রতিরোধ গড়ে তুলব।

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম জনগণ মেনে নিবে না। রায়ের পর সন্ত্রাসী কার্যক্রম করলে প্রতিরোধ জনগণই করবে। আইন শৃঙ্খলাবাহিনী তাদের স্বাভাবিক দায়িত্ব পালন করবে।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin