bnp_metting_18

বিএনপির শীর্ষ কয়েকজন নেতাকে নির্বাচনে অযোগ্য করা হচ্ছে

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই বিএনপির একাধিক শীর্ষনেতা দণ্ডিত হতে পারেন। দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে দুবছরের বেশি সময় সাজা হলে, তাঁরা নির্বাচনের অযোগ্য হয়ে যেতে পারেন। বিএনপির শীর্ষ চারনেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা শেষ পর্যায়ে। এরা হলেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আবদুল্লাহ আল নোমান এবং এ কে এম মোশারফ হোসেন।

বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়ার পর এই চারনেতা নির্বাচনের অযোগ্য হলে সেটি হবে বিএনপির জন্য বড় ধাক্কা। আদালত থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, এই চারনেতা ছাড়াও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আরও ১৮ নেতার বিরুদ্ধে মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সরকার ও দুদক উদ্যোগ নিয়েছে।

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের মামলা শেষ পর্যায়ে। ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশন ওই মামলা দায়ের করে। লন্ডনে একটি ব্যংকে মোশাররফের নামে ৯ কোটির বেশি টাকার অর্থের সম্পদের অভিযোগ করা হয়েছে। এই মামলায়, ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ১-এ এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ পর্যায়ে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির মামলা শেষ পর্যায়ে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ যে, জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত তাঁর ৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকার সম্পদ রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয় ওয়ান– ইলেভেন সরকারের সময়। ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট দুর্নীতি দমন কমিশন এই মামলা দায়ের করে। উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করায় মামলাটি এখন দ্রুত নিষ্পত্তির দিকে এগুচ্ছে।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের বিরুদ্ধে অবৈধ অর্থ অর্জনের মামলা সমাপ্তির দিকে। ১৯৯৮ সালে দায়ের করা এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশারফহোসেনের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক দায়েরকৃত এই মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে যে, প্রতিমন্ত্রী থাকা অবস্থায় তিনি কানাডার নাইকোর কাছ থেকে গাড়ি এবং ৫হাজার ডলার নিয়েছিলেন।

দুর্নীতি দমন কমিশন বলছে, সবগুলো মামলাতেই ভালো মেরিট আছে। তাঁরা আশা করছেন, মামলাগুলোতে আসামিরা সর্বোচ্চ শাস্তি পাবেন। এই মামলাগুলোতে সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছরের কারাদণ্ড।

এই মামলা ছাড়াও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলাটি হাইকোর্ট স্থগিত করে রেখেছে। স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের জন্য দুদক আইনি লড়াই শুরু করেছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামআলমগীরের বিরুদ্ধে ১৮টি নাশকতার মামলা হাইকোর্ট স্থগিত করে রেখেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই শুরু করার তাগিদ দিয়েছে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসকে।

সরকারি সূত্রগুলো বলছে, নির্বাচনের আগে যত বেশি সম্ভব মামলা নিষ্পত্তির জন্য সংশ্লিষ্ট আইন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসব মামলায় দণ্ডিত হলে বিএনপির অধিকাংশ শীর্ষ নেতাই নির্বাচনের অযোগ্য হবেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেছেন, ‘বিএনপিকে নির্বাচন থেকে অযোগ্য করতেই এভাবে মামলা করা হয়েছে। সরকারের এক তরফা নির্বাচনের নীল নকশারই অংশ এটি।

বাংলা ইনসাইডার

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin