মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার তৎপরতা বেড়ে গেছে। জো বাইডেন এবং কমলা হ্যারিস বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হবার পর সিনহা ছুটে যান ডেলওয়্যারে। নির্বাচনের সময় থেকেই বাইডেন সেখানে অবস্থান করছিলেন। কমলা হ্যারিসের সঙ্গে খুব শিগগীরই তার সাক্ষাৎ হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
ক্যালিফোর্নিয়ায় কমলা হ্যারিস এর্টনী থাকার সময় একটি সেমিনারে বিচারপতি সিনহা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। সিনেটর হবার পরও ২০১৮ তে কমলা হ্যারিসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিচারপতি সিনহা। সেই পরিচয়ের সূত্র ধরেই, এখন বিচারপতি সিনহা কমলার সঙ্গে সাক্ষাত করতে চাইছেন। আর তার সাক্ষাতের জন্য দৌড়ঝাপের খরচ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপি নেতৃবৃন্দ।
যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপির একজন নেতা বলেছেন ‘বিচারপতি সিনহা বলেছেন, তিনি কমলা হ্যারিসের সঙ্গে ঘনিষ্ট। এজন্য আমরা তাকে বাংলাদেশ পরিস্থিতি ব্রিফ করার দায়িত্ব দিয়েছি।’মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রীতি হলো নতুন প্রেসিডেন্ট বা ভাইসপ্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেই তাকে বিভিন্ন গ্রুপ তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ইস্যু সম্পর্কে ব্রিফ করেন। নভেম্বরে নির্বাচন হলেও প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব নেন জানুয়ারির ২০ তারিখে।
এই সময়ে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে তারা নিজেদের পরামর্শকদের সঙ্গে যেমন কথা বলেন তেমনি বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিনিধিদলের সঙ্গেও বৈঠক করেন। এধরণের বৈঠক বা আলোচনার প্রধান লক্ষ্য হলো, ক্ষমতায় গেলে যেন এই ইস্যু গুলো তারা মাথায় নেন।
বাইডেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবার পরপরই যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত তার সঙ্গে সাক্ষাত করেন। বিএনপি এবং জামাতপন্থীরা মনে করছে শুরুতেই যদি বাইডেন প্রশাসনকে বাংলাদেশ সম্পর্কে তাদের মতো করে ব্রিফ করা যায়, তাহলে নতুন মার্কিন প্রশাসন ইস্যু টিকে গুরুত্ব দেবে এবং বাংলাদেশের ব্যাপারে নজর দেবে।
বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরাই বাইডেন-কমলা নির্বাচন টীমের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে এরকম কোন উদ্যোগ দেখা যায়নি। বিচারপতি সিনহা তার কয়েকজন ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিকে বলেছেন, যেহেতু কমলা হ্যারিস ভারতীয় বংশোদ্ভুত এবং আইনজীবী তাই তিনি (বিচারপতি সিনহা) আলাদা গুরুত্ব পাবেন। প্রথমেই বর্তমান সরকার সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা দেয়াই সিনহার মিশন বলে জানা গেছে।
বাংলা ইনসাইডার