‘বিএনপির দুর্নীতির কেচ্ছা-কাহিনীর থলের বিড়াল মিউ করে বেরিয়ে আসছে’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ অভিযানে অংশগ্রহণের জন্য সাতক্ষীরায় যাওয়ার পথে যশোরের রাজারহাটে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ আরো বলেন, কাতার-সৌদি আরবে তাদের দুর্নীতির খবর প্রকাশ হয়েছে। কানাডার আদালত তো রায় দিয়েছেন তারা ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’। তারেক রহমান ও প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর দুর্নীতির রায়ও হয়েছে। বাংলাদেশের আদালতেও অর্থপাচার মামলায় তারেক রহমানের সাজা হয়েছে। এগুলোকে বিএনপি কী অস্বীকার করতে পারবে? কানাডা-সিঙ্গাপুরের আদালতের রায়কে কী তারা অস্বীকার করতে পারবে?
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু দুর্নীতি না, বিএনপির এক নেতাকে কানাডা আশ্রয় দিতে রাজি হয়নি। তারা বলেছে- বিএনপি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। তাদের আশ্রয় দেওয়া যাবে না। কানাডা কী আমাদের সরকারের আদালত? নাকি সরকারি হস্তক্ষেপে এই রায় দিয়েছে দেশটি?’
তিনি আরো বলেন, ‘কয়েক দিন আগে একটি পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে- ঢাকা শহরের কিলার গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ করছে বিএনপির সুইডেন প্রবাসী এক নেতা। দুই বছর আগে সুইডেনে পাঠিয়ে দেওয়া ওই নেতা ঢাকা শহরের কিলার নিয়ন্ত্রণ করছে। দেশে খুন-গুমের সঙ্গে বিএনপি নেতার ওই কিলিং গ্রুপ জড়িত কিনা আমাদের ঘোরাতর সন্দেহ হচ্ছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির ভাঙা রেকর্ড বাজতেই থাকে। তারা বলে- গেল রে গেল, গণতন্ত্র গেল; গেল রে গেল, নির্বাচন গেল। আগে তারা বলতো- বাংলাদেশ ইন্ডিয়া হয়ে গেল। সেই পুরনো স্লোগান এখন তারা আবার বাজাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির আগামী নির্বাচনে না আসার কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচনে তাদের আসতেই হবে। যদি তারা রাজনৈতিক অস্তিত্বকে আরো ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে না চায়, তাহলে নির্বাচনে আসবে। তারা এটাকে পাশ কাটিয়ে যেতে পারবে না। কারণ, নির্বাচনে না এলে তারা আরো সঙ্কুচিত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ে যাবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে আসুক। নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হোক, এটাই আমরা চাই। আইনগতভাবে নির্বাচন কারো জন্য থেমে থাকে না। নির্বাচনের ট্রেন চলবেই। নির্বাচনের ট্রেন, গণতন্ত্রের যাত্রা কোনোভাবেই ব্যাহত হওয়ার সুযোগ নেই।’
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিয়ে একটা প্রতিকূল পরিবেশ তৈরি করেছিল বলেও অভিযোগ করেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, বিএনপি না এলে নির্বাচন তো বন্ধ থাকবে না। বিএনপি না এলে গণতন্ত্রের কী দোষ। এবার নির্বাচনে না আসার কোনো সুযোগ বিএনপির নেই। নির্বাচনে তাদের আসতেই হবে।
আওয়ামী লীগের এই নেতা আরো বলেন, ‘আগামী নির্বাচন প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। বিএনপি যদি না আসে, তাহলে সেই সুযোগ তারা হাত ছাড়া করবে।’
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য এসএম কামাল হোসেন, যশোর-২ আসনের এমপি মনিরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলদার প্রমুখ।
rtnn