‘বর্তমানে বিএনপির কার্যক্রমে যে শান্তিপূর্ণ বলা হচ্ছে, এটা তাদের আসল ছবি না। তারা দূতাবাসে, জাতির পিতার ছবিতে হামলা চালিয়েছে। প্রিজন ভ্যান থেকে আসামিকে ছিনিয়ে নিচ্ছে, পুলিশের ওপর হামলা করছে এটাই হচ্ছে বিএনপির চিত্র’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের
রবিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঢাকার আশপাশের জেলার সংসদ সদস্য ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। আগামী সাতই মার্চ উপলক্ষে করণীয় নিয়ে আলোচনা হয় সভায়।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া জেলে যাওয়ার পর বিএনপির নেতারা বলছেন বিএনপি আগের চেয়ে বেশি শক্তিশালী এবং ঐক্যবদ্ধ। তাহলে কেন তারা এই শক্তিশালী বিএনপি নির্বাচনে যেতে ভয় পায়? আমরা এই বিএনপিকে নিয়েই আগামী নির্বাচনে যেতে চায়। আমরা একটা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই।
বিএনপির নেতাদের প্রতি প্রশ্নরেখে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাতের অন্ধকারে বাসায় বসে কেন তারা তাদের গঠনতন্ত্রের ৭ধারা বাতিল করল? এই প্রশ্নের জবাব তারা এখনো দেয়নি।
আওয়ামী লীগের কোনো ধারা বাতিল করতে হলে কাউন্সিল ছাড়া এটা করা যায় না উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি এটি কেন করেছে, এর জবাব এখনো পাইনি।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি হচ্ছে আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ দল। ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ের ১০ দিন আগে বিএনপি কাউন্সিল বৈঠক না করে সংগঠনের ৭ ধারা বাতিল করে। সেই ৭ ধারা (ঘ)-তে বলা আছে, উন্মাদ, দুর্নীতিবাজ, এ রকম কেউ নেতা হতে পারবেন না। একজন তো (খালেদা জিয়া) দুর্নীতির দায়ে কারাগারে আছেন। অন্যজন (তারেক রহমান) দণ্ডপ্রাপ্ত দুর্নীতিবাজ এখন পলাতক। তাকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করার জন্য এটি করা হয়েছে।
দলের নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের এখন নারী, তরুণ ও প্রথম ভোটারদের গুরুত্ব দিতে হবে। এখন থেকে নির্বাচনের জন্য কাজ করতে হবে, ক্যাম্পেইন করতে হবে।’
এর আগে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী জেলার আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা এবং সংসদ সদস্যরা ৭ মার্চ সমাবেশকে সফল করার জন্য বিভিন্ন মতামত প্রদান করেন। এসময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ।