শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানি সুবিধা নিয়ে পরবর্তীতে তা বিক্রি করে শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে দুদকের মামলায় বিএনপির সংসদ সদস্য হারুন অর রশীদকে (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে, তাকে ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম আজ সোমবার (২১ অক্টোবর) ৪০৯ ধারায় এ রায় দেন।
এমপি হারুন ছাড়াও পলাতক আসামি এনায়েতুর রহমান বাপ্পীকে (এমডি, চ্যানেল ৯) ৪০৯ ও ১০৯ ধারায় দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ইশতিয়াক সাদেককে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৪০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।
শুল্কমুক্ত গাড়ি এনে তা বিক্রি করে টাকা আত্মসাতের ঘটনায় করা মামলায় বিএনপির সাংসদ হারুন অর রশিদসহ তিনজনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪–এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এই রায় দেন। প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদকের আদালত পরিদর্শক আশিকুর রহমান।
আশিকুর রহমান বলেন, দুর্নীতির এই মামলায় বিএনপির সাংসদ হারুন অর রশিদকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড এবং ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আর ব্যবসায়ী এনায়েতুর রহমানকে দুই বছর কারাদণ্ড এবং ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গাড়ি ব্যবসায়ী ইশতিয়াক সাদেককে তিন বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে এবং জরিমানা করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা। হারুন অর রশিদ ছাড়া বাকিরা পলাতক।
ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মইনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, রায় ঘোষণার পর দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হারুন অর রশিদকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়।
সূত্র: জাগো নিউজ