বিএনপিকে পাত্তাই দিচ্ছে না জামায়াত, রাতে ফের সমঝোতা বৈঠক

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)মেয়র নির্বাচন নিয়ে সমঝোতা হয়নি জামায়াত-বিএনপির মাঝে। শুক্রবার রাতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত অমীর অধ্যাপক মুজিবর রহমানের আলোচনায় কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়।

ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জামায়াত ঘোষিত মোয়র প্রার্থী সেলিম উদ্দিনও। ইতিমধ্যে মেয়র পদে নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন ফরমও কিনে ফেলেছেন।

সেলিম উদ্দিন একটি গণমাধ্যমকে বলেন, আশা করি ২০ দলীয় জোট মেয়র হিসেবে আমাকেই মনোয়ন দেবে। যদি আমাকে ২০ দল মনোয়ন না দেয় তাহলে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াব।

মির্জ ফখরুল শুক্রবারের বৈঠকের ফলাফল দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অবহিত করেছেন। আজ রাতে কোনো এক সময় সমঝোতার শেষ চেষ্টা করা হবে বলে বিএপির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে।

এদিকে, ঢাকা উত্তরের মেয়র প্রার্থী নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের এই টানাপোঁড়েনের মধ্যে একটি অজানা কারণ রয়েছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, জামায়াত বিএনপির সাথে রাজনীতি করে গত ৯ বছরে কিছুই পায়নি। এবার নিজেদের একক সামর্থ্য দেখাতেই এমনটা করছে জামায়াত সেটাও উল্লেখ করেছেন কেউ কেই।

উল্লেখ্য, আনিসুল হকের মৃত্যুতে ঢাকা সিটি উত্তরের মেয়র পদ শূণ্য হয়েছে। নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে এই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। আগামী ১৮ জানুয়ারি মেয়র পদে মনোনয়ন জমা দেয়ার শেষ দিন। বিএনপির পক্ষ থেকে তাবিথ আউয়ালকেই আবার মেয়র পদে প্রার্থী করার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু এর মধ্যেই বিএপির প্রধান মিত্র জামাত মেয়র প্রার্থী হিসেবে ঢাকা উত্তর মহানগরীর আমীর সেলিম উদ্দিনের নাম ঘোষণা করে। সেলিম উদ্দিন ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি। গত সপ্তাহে বেগম জিয়ার সভাপতিত্বে ২০ দলীয় জোটের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ২০ একক প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু জামাত মেয়র পদে নির্বাচনে অনঢ় অবস্থান নিয়েছে।

বিএনপির একজন নেতা বলেছেন, সরকারের ইঙ্গিতেই জামাত খেলছে। এজন্যই তারা আলাদা মেয়র প্রার্থী দিয়েছে। কিন্তু সেলিম উদ্দিন এই অভিযোগ অস্বীকার করে বরং তাবিথ আউয়ালকেই সরকারের ইঙ্গিতে দেওয়া প্রার্থী হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তিনি বলেছেন- তাবিথ কার আত্মীয় খোঁজ নিন।

মেয়র নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপি-জামাতের মখোমুখি অবস্থান নতুন রাজনৈতিক মেরুকরণের ইঙ্গিত বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin