জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির ও ডিএনসিসি নির্বাচনে জামায়াত মনোনীত মেয়র প্রার্থী মুহম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেছেন, নগরীতে বায়ু ও শব্দ দূষণ অন্যতম মৌলিক সমস্যা।
এ সমস্যাগুলো নাগরিক জীবনের ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। মেয়র নির্বাচিত হলে একটি বায়ু ও শব্দদূষণমুক্ত ডিএনসিসি গড়তে চাই।
আজ নগরীর রামপুরা ও কাফরুল এলাকায় পৃথক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আনোয়ারুল করিম, ডা. ফখরুদ্দীন মানিক, সাইয়্যেদ হাসান ঈমাম, আব্দুল মতিন খান, ফজলে আহমদ ফজলু, আব্দুস সবুর ফরহাদ, আব্দুল হালিম আলমগীর, এস এম মনিরুজ্জামন, তারেক রেজা তুহিন, খান হাবীব মোস্তফা, সাইদুর রহমান, আতিকুল ইসলাম, গোলাম মতুর্জা প্রমূখ।
সেলিম উদ্দিন বলেন, মূলত মানহীন ও চলাচল অনুপযোগী যানবাহনের তীব্র ধোঁয়া, পরিবেশ বান্ধব জ্বালানীর অভাব, নগরীর অভ্যন্তরে ভারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান এবং এসব প্রতিষ্ঠানের বর্জ্য অপসারণে অব্যবস্থাপনা, সিটি করপোরেশনের উদাসীনতা ও সেবার নিম্নমান থেকেও বায়ুদুষণ হয়ে থাকে।
জাতিসংঘের সর্বশেষ বায়ু দূষণের যে ডাটাবেজ প্রকাশিত হয়েছে তাতে দেখা যায়, বায়ুদূষণের ফলে স্ট্রোক ও হাঁপানির মতো মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই এ বিব্রতকর অবস্থা থেকে নগরবাসীকে রক্ষা করতে হলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বায়ুদূষণ রোধে নগরীতে মানহীন যানবাহন প্রত্যাহার, পরিবেশ বান্ধন জ্বালানীর ব্যবহার নিশ্চিতকরণ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তা নেয়া দরকার। এছাড়াও পরিচ্ছন্ন প্রক্রিয়াকে সময়োপযোগি করাও জরুরি।
তিনি বলেন, শব্দ দূষণও ডিএনসিসির জন্য গুরুতর সমস্যা। আমাদের দেশে রয়েছে শব্দ দূষণ নীতিমালা। ডিএনসিসিতে এ বিধিমালা মানা হচ্ছে না। মূলত ডিএনসিসির উদাসীনতা, দায়িত্বহীনতা ও নীতিমালার যথাযথ প্রয়োগের অভাবেই ঢাকা নগরীসহ ডিএনসিসি এলকার শব্দদূষণ রোধ করা কোনোভাবেই সম্ভব হচ্ছে না।
নির্বাচিত হলে তিনি সব সমস্যা সমাধান করে ডিএনসিসিকে একটি শ্রমিকবান্ধব, শিক্ষানুকুল; জানজট-জলাবদ্ধতা, শব্দ-বায়ুদূষণমুক্ত সর্বাধুনিক নাগরিক সুবিধা সম্পন্ন তিলোত্তমা নগরীতে পরিণত করার আশ্বাস দেন। বিজ্ঞপ্তি।
dailynayadiganta