ডেস্ক রিপোর্ট
বাবাকে দাফন তখনও পুরোপুরি সম্পন্ন হয়নি, এমন সময় নিজের মেয়র হওয়ার খায়েশ প্রকাশ করলো আনিসুল হকের ছেলে নাভিদুল হক। নাভিদুল হক বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাইলে ঢাকাবাসীর সেবায় যেকোন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত তাদের পরিবার। তা মেয়র পদে থেকে বা না থেকে করা যায়।
বিকালে বনানী কবরস্থানে আনিসুল হককে দাফন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নাভিদ বলেন, বাবার স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমাদের পরিবার ঢাকা নগরবাসীর উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে চায়। যাতে বাবার অবাস্তবায়িত স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা যায়।’
এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ফেসবুকে নানা মন্তব্য আসছে। একজন লিখেছেন, “আহারে ক্ষমতা! দুই-চারটা দিন পর্যন্ত সময় নিতে নারাজ! রক্তের দোষ নাকি দলের দোষ ঠিক বুঝতে পারছিনা, আ’লীগ নেতা খন্দকার মোশতাক শেখ মুজিবুর রহমানের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে সেদিন ক্ষমতা গ্রহণ করেছিল, আরেকজন ক্ষমতা হারানোর ভয়ে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে আর এখন দেখলাম এই ছেলের ইচ্ছা যার বাবাকে আজকেই দাফন করে আসলো!”
জাকির লিখেছেন, এই সন্তানকে আমরা বড় করে তুলি। বাবাকে কবর দিতে না দিতেই গদীর দিকে লোভাতুর দৃস্টি। এই রকম সন্তানের জন্য আমরা কত মানুষের অধিকার নষ্ট করে, অপরাধ করে, দুর্নিতী করে অর্থ সঞ্চয় করি। তারা আমাদের জন্য একটু দোয়াও করে না।
ফারুক চৌধুরী লিখেছেন, ক্ষমতা এমন একটা জিনিশ যা পেলে বাবার খুনির সাথে এক টেবিলে বসা যায়…মাননীয় প্রধান মন্ত্রী বনাম ইনু…মতিয়া
নবীন লিখেছেন, আপনার বাবা জোর করে ভোট নিয়া মেয়র হয়েছে।আপনি জোর না করে চাইয়া নিতে চান। আপনারা সব পারেন।
হাবিব খান জানতে চান, যেই ঢাকাবাসীর সেবা করতে চাও তারা তোমাকে চায় কিনা সেটা কি একবারও জানতে চেয়েছো?
রফিকুল ইসলাম মন্তব্য করেছেন, বাপের লাশ দাফন হওয়ার আগেই তার চেয়ারটা দখলের চেষ্ঠা ? এ- আমরা কোন পৃথিবীতে বাস করছি ? অথচ তার বাবার যা সম্পত্তি সেগুলো বাঘে মহিষে খেয়েও এক জনমে শেষ করতে পারবেনা !!!
আব্দুল্লাহ হেলালি ভিন্ন মোঃতে লিখেছেন, এতে খারাপের কিছু দেখছিনা।সে ছেলে যদি সততার সহীত মানুষের সেবার করার ইচ্ছা পোষন করে তাতে দোষের কি?হোক তা বাবার লাশের পাশে দাঁড়িয়ে।বাবার মৃত্যুতে প্রত্যেক সন্তান ই মর্মাহত হয় সে তার হাজার কষ্ট চেপে রেখে এমন কথা বলতে পেরেছে এতে দোষের কিছু বলেনি।সব কিছু নেগেটিভ কিংবা ট্রল করা ঠিক নয়