বাতাসে নানা গুঞ্জন, ২২ তারিখের পর কী হবে?

দেশে বর্তমানে কোনো আন্দোলন না থাকলেও রাজনৈতিক অঙ্গনে গুজব আর কানাঘুষার কোনো শেষ নেই। প্রতিদিনই নতুন নতুন সংবাদ বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে। এগুলো কি আসলে শুধুই গুঞ্জন নাকি পরিকল্পনা মাফিকই হচ্ছে তাও সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। কারণ, একেকটি সূত্র একেক ধরণের তথ্য দিচ্ছে।

সর্বশেষ আগামী ২২ সেপ্টেম্বর নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনসহ বাতাসে নানা ধরণের কথা ভেসে বেড়াচ্ছে। ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী, ড. কামাল হোসেন, কর্নেল অলি আহমদ, আ স ম রব, মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বে গঠিত যুক্তফ্রন্ট রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার ডাক দিয়েছেন। সেদিন ওই জনসভা থেকেই তারা সরকার বিরোধী জাতীয় ঐক্যের ঘোষণা দেবেন।

জানা গেছে, এই জাতীয় ঐক্য গঠনের লক্ষ্যে তারা ইতিমধ্যে দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ অন্যান্য ছোট দলগুলোর সঙ্গেও আলোচনা করছে। এনিয়ে তারা খুব শিগগিরই বিএনপির সঙ্গে বসবে বলেও জানা গেছে। বিএনপির সঙ্গে যদি তাদের মতের মিল হয় তাহলে সেদিনই জাতীয় ঐক্যের ঘোষণাসহ নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।

তবে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, ২২ তারিখ যুক্তফ্রন্টের জনসভার পরই দেশের রাজনীতি ভিন্ন দিকে মোড় নিতে পারে। সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে জাতীয় ঐক্যের নেতারা বড় ধরণের কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। তাদের এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য তারা দেশের সাধারণ মানুষের প্রতিও আহ্বান জানাবেন। সরকারের বিরুদ্ধে কোনো কর্মসূচি দিলে সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে আসবে বলেও মনে করছেন তারা।

কয়েকটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় ঐক্যের নেতাদের টার্গেট হবে সরকারের পতন। গণআন্দোলন শুরু হলেই সেখানে অন্য কেউ হস্তক্ষেপ করতে পারে। তারা এমন আন্দোলন শুরু করবে যার কারণে পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ করবে। এসব খবর যে শতভাগ সঠিক সেটাও বলা যাবে না।

তবে সরকারের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের কাছ থেকে এমন কিছু তথ্য জানা গেছে যা উপরের উল্লেখিত সংবাদগুলোকে সমর্থন করে। তারাও বলছেন যে, যুক্তফ্রন্টের কর্মকাণ্ড নিয়ে সরকারও খুব টেনশনে আছে। ২২ তারিখের পর তারা সরকারকে একটি বড় ধরণের ধাক্কা দেবে। সেই ধাক্কাটা যেকোনো ভাবে হতে পারে। তারা মাঠে নেমেও হতে পারে কিংবা অদৃশ্য শক্তির ইশারাতেও হতে পারে। ওই ধাক্কায় সরকারের টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়তে পারে।

উৎসঃ   অ্যানালাইসিস বিডি

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin