munmun

বাংলাদেশি মুনমুন বিশ্বসেরা – সাবাশ বাংলাদেশ

পাবনার ঈশ্বরদীর সলিমপুর ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামের গোলাম জাকারিয়া মানুর মেয়ে মাহমুদা সুলতানা (মুনমুন) তার অসাধারণ সৃজনশীলতার পরিচয় দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার ‘আইআরএডি ইনোভেটর অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার জিতেছেন।

গ্রাফিন, যা এক ধরনের পারমাণবিক স্কেল, সেটি নিয়ে অসামান্য সৃজনশীলতার স্বাক্ষর রাখায় এই পুরস্কারের জন্য তাকে মনোনীত করা হয়।

এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর এলাকার মানুষজন ভীষণ খুশি। সলিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বাবলু মালিথা প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেন, আমরা গর্বিত মুনমুন আমাদের জয়নগর গ্রামের মেয়ে।

মাহমুদা সুলতানা (মুনমুন) ন্যানোটেকনোলজিতে তার কাজের জন্য সম্প্রতি ‘নাসা’ থেকে ‘ইনোভেটর অফ দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত হয়েছেন। এ অর্জনে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন মুনমুন।

মাহমুদা সুলতানা (মুনমুন) ২০১০ সালে ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) থেকে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ওপর পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। তারপর একই সালে নাসার গডার্ড এ গ্রাফিন (এক ধরনের পারমাণবিক স্কেল) নিয়ে কাজ করার সুযোগ পান তিনি।

মূলত এই গ্রাফিন নিয়ে কাজ করার সুবাদেই সুলতানার সৃজনশীলতার প্রতি মুগ্ধ হয় নাসা। এর ফলেই এ বছর নাসা কর্তৃপক্ষ মাহমুদাকে ইনোভেটর অব দ্য ইয়ার হিসেবে মনোনীত করে।

২০১০ সালে ক্যামিকেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি নেয়ার আগেই মাহমুদা সুলতানা যখন ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া থেকে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে আন্ডার গ্রাজুয়েট করেছিলেন, তখন থেকেই কাজ শুরু করেছিলেন বিখ্যাত বেল ল্যাবরেটরিতে রিসার্চ অ্যাকাউন্টেন্ট হিসেবে।

মুনমুন জয়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিল। তারপর রংপুরে কিন্ডার গার্টেনে পড়ালেখা করেন এবং পাবনা গার্লস স্কুলে ৯ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত অবস্থায় পরিবারের সঙ্গে আমেরিকা চলে যান। তার বাবা প্রকৌশলী গোলাম জাকারিয়া (মানু) বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

কে এই ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ মানসি চিল্লার?

সারাবিশ্বকে তাক লাগিয়ে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের মেয়ে মানসি চিল্লার হয়েছেন মিস ওয়ার্ল্ড-২০১৭। গতকাল শনিবার চীনের সানাইয়া সিটিতে অনুষ্ঠিত গ্র্যান্ড ফিনাল থেকে এই ঘোষণা আসে। এরপর বিশ্ববাসীর নজর এখন ২০ বছর বয়সী মানসির দিকে। জানার ইচ্ছা, কে এই ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ মানসি চিল্লার? ভারতীয় গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, মানসির আগাগোড়া পরিচয়।

ভারতীয় সংবাদপত্রের খবরে বলা হয়েছে, ১৯৯৭ সালের ১৪ মে হরিয়ানায় এক চিকিৎসক পরিবারে জন্ম মিস ওয়ার্ল্ড মানসি চিল্লার। তার বাবা-মা দু’জনেই পেশায় চিকিৎসক। বাবা মিত্রবসু চিল্লার ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের একজন বিজ্ঞানী। আর মা নীলম চিল্লার ইনস্টিটিউট অব হিউম্যান বিহেভিয়র অ্যান্ড অ্যালাইড সায়েন্সের সহকারী অধ্যাপক।

বাবা-মাকে দেখে ছোট থেকেই মানসির ইচ্ছা ছিল বড় হয়ে চিকিৎসক হবেন। তখন থেকেই পড়ার বইয়ে মুখ গুজে থাকতেন এই মেয়ে। আর বাকি পাঁচটা মেয়ের মতো পড়াশোনাটাই ছিল তার ধ্যান-জ্ঞান। একসময় মানসির পরিবার হরিয়ানা থেকে চলে আসে উত্তর দিল্লিতে। তখন মানসি ভর্তি হন দিল্লির সেন্ট থমাস স্কুলে। দ্বাদশ শ্রেণিতে খুব ভালো ফলাফল করে সোনিপাতের ভগতফুল সিংহ সরকারি কলেজ ও হাসপাতালে (মহিলা) ডাক্তারি পড়তে ভর্তি হন।

পড়াশোনার পাশাপাশি বিখ্যাত নৃত্যশিল্পী রাজা রেড্ডি, রাধা রেড্ডি এবং কৌশল্যা রেড্ডির কাছে মানসির তালিম চলছিল কুচিপুরি নৃত্যশৈলীরও। এমনকী ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামার ছাত্রী তিনি। পড়াশোনা, পরিবার, বন্ধুবান্ধব, নাচ আর নাটক এই নিয়ে জীবনটা একই খাতে বইছিল মানসির।

তবে সুন্দরী প্রতিযোগিতায় একবার অংশ নেয়ার একটা সুপ্ত বাসনা ছিল তার মনের মধ্যে। সে কথাটা মা-বাবাকে একদিন বলেও ফেলেন। মেয়েকে উৎসাহ দিতে কোনো কার্পণ্য করেননি তার বাবা-মা। সে সময় চণ্ডীগড়ে ছিলেন মানসি। একটি সুন্দরী প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হওয়ার খবর পান। আর দেরি করেননি। নাম লেখাম করে ফেলেন সেই প্রতিযোগিতায়।

সেই থেকে জীবনটাকে এক্কেবারে অন্যভাবে দেখা। তখন থেকেই বিশ্বের সেরা সুন্দরীর মঞ্চে সেরার তকমা আদায় করার জন্য শুরু কঠিন অধ্যবসায়। যে সময় আর পাঁচটা ছাত্রী ঘুমতে যেতেন, সে সময় কঠিন অনুশীলনে ব্যস্ত থাকতেন ভারতের নতুন বিশ্ব সুন্দরী। একটা বছর ঠিকমতো পড়াশোনাটাও করে উঠতে পারেননি সে জন্য।

এসব কিছু অবশ্য বৃথা যায়নি। জয়ের শেষ হাসিটা হেসেছেন মানসি। ২০১৭ সালের ২৫ জুন হরিয়ানার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে জিতে নিয়েছিলেন ‘মিস ইন্ডিয়ার’ খেতাব। এবার বিশ্ব সুন্দরীর মুকুট জিতে নিলেন মানসি।

উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সালে প্রথমবার ভারতীয় হিসেবে ‘মিস ওয়ার্ল্ডে’র মুকুট জয় করেন ঐশ্বরিয়া রাই। এরপর ডায়ানা হেডেন ১৯৯৭ সালে দ্বিতীয়বারের মতো ভারত থেকে ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। পরে যুক্তা মুখী ১৯৯৯ সালে ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ খেতাব পান। পরের বছর অর্থাৎ ২০০০ সালে আবার ভারত থেকে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ বিজয়ী হয়েছিলেন। এর ১৭ বছর পর আবারও ভারতের মানসি চিল্লার হলেন মিস ওয়ার্ল্ড।

সূত্র: জাগো নিউজ

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin