bogura_bijoy

বগুড়া বার সমিতির নির্বাচনে সভাপতি-সম্পাদকসহ বিএনপি-জামায়াত প্যানেলের নিরঙ্কুশ বিজয়

শুক্রবার অনুষ্ঠিত বগুড়া জেলা অ্যাডভোকেটস বার সমিতির বার্ষিক নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত-সমর্থিত আফতাব–সাইফুল পরিষদ কার্যনির্বাহী কমিটির ১৩টি পদের মধ্যে ১১টি পদেই বিজয়ী হয়েছে। অপরদিকে আ’লীগ, জাপাসহ সমমনা দল-সমর্থিত গালিব–মুকুল পরিষদ শুধু দু’টি সদস্য পদে জয়লাভ করেছে। সকাল ৭টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত সমিতির গওহর আলী ভবনে একটানা ভোট গ্রহণ শেষে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি রাত সাড়ে ৯টায় ফলাফল ঘোষণা করে। এই নির্বাচনে ৬৪৬ জন ভোটারের মধ্যে ৬২৬ জন ভোট দেন।

সভাপতি পদে বিজয়ী বিএনপি জামায়াত-মর্থিত আফতাব উদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন ৩৩৫ ভোট। নিকটতম একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী প্যানেলের প্রার্থী বর্তমান সভাপতি লুৎফে গালিব আল জাহিদ মৃদুল পেয়েছেন ২৭৫ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী বিএনপি প্যানেলের (সাবেক পিপি )এ কে এম সাইফুল ইসলাম পেয়েছেন ৩২৬ ভোট। নিকটতম আ’লীগ-সমর্থিত প্রার্থী সাবেক সাধারন সম্পাদক মকবুল হোসেন মুকুল পেয়েছেন ২৭১ ভোট্।

অন্যান্য পদে বিজয়ীরা হলেন সহসভাপতি পদে বিজয়ী বিএনপি প্যানেলের আজবাহার আলী ও সেলিম রেজা, যুগ্ম সম্পাদক পদে পিএম মইনুল হাসান হেলাল ও আতিকুল মাহবুব সালাম, লাইব্রেরী ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সিরাজুল হক, ম্যাগাজিন, ক্রীড়া ও সাংস্কুতিক সম্পাদক গোলাম দস্তগীর সরকার(শাওন), কার্য্য নির্বাহী সদস্য পদে আতোয়ার হোসেন প্রামাণিক (আপন) গোলাম মোস্তফা মজনু, শরীফুল ইসলাম (২) হীরা।

অপরদিকে আওয়ামী প্যানেলের বিজয়ী দুই সদস্য হলেন মোঃ জুয়েল ও দেবাশীষ রায়। এদিকে বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম সহ বিজয়ী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

dailynayadiganta

খালেদার চুইংগাম কৌশল

বেগম জিয়ার আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন চলছেই। মামলা দীর্ঘায়িত করার জন্য তিনি যেন চুইংগাম নীতি গ্রহণ করেছেন। বৃহস্পতিবার তিনি ষষ্ঠ দিনের মতো আত্মপক্ষ সমর্থন করে আদালতে বক্তব্য রাখেন। ষষ্ঠ দিনে বেগম জিয়ার বক্তব্য স্পষ্ট করে দিয়েছে যে তিনি কালক্ষেপণের নীতি গ্রহণ করেছেন। যে কোন উপায়ে এই মামলার রায়কে তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসীল পর্যন্ত নিয়ে যেতে চান।

লন্ডন থেকে দেশে ফেরার পরদিনই (৯অক্টোবর) বেগম জিয়া তাদের বিরুদ্ধে করা জিয়া অরফানেজ দুর্নীতি মামলার আত্মপক্ষ সমর্থন শুরু করেন। সেদিন তাঁর আত্মপক্ষ সমর্থন সাধারণ জনগণকে আগ্রহী করেছিলো। মানুষ শুনতে চেয়েছিলো, তিনি তাঁর অভিযোগ সম্পর্কে কি বলেন। বিশেষ করে তিনি যখন বঙ্গবন্ধু সহ জাতীয় নেতৃবৃন্দের অতীত মামলাকে উদাহরণ হিসাবে উপস্থাপন করেন, তখন তাঁর বক্তব্যের ব্যাপারে আগ্রহ বাড়ে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু তাঁর আগরতলা মামলায় আত্মপক্ষ শুনানি করে বক্তব্য দিয়েছিলেন মাত্র দুই ঘণ্টা ৪৭ মিনিট। কর্ণেল তাহের তাঁর বিরুদ্ধে জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন করেন মাত্র দেড় ঘণ্টা।

আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য রেখে বেগম জিয়া এক নতুন রেকর্ড করেছেন। ৬ দিনে তিনি প্রায় ১১ ঘণ্টা বক্তব্য রেখেছেন। বাংলাদেশের ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী, একজন আসামির আত্মপক্ষ সমর্থন তাঁর মৌলিক অধিকার। ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার জন্য আত্মপক্ষ সমর্থনের পর্যাপ্ত ও পরিপূর্ণ সুযোগ দেয়ার কথা কার্যবিধিতে বলা হয়েছে। তবে একজন অভিযুক্ত কতক্ষণ বা কতদিন আত্মপক্ষ সমর্থন করতে পারবেন, সে সম্পর্কে আইনে কিছু বলা নেই। আর এই সুযোগটাই নিচ্ছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।

অবশ্য বিচার প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করার সব সুযোগই বেগম জিয়া নিয়েছেন। মোট ৫৭ বার তিনি বিচার কার্যক্রমের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে গেছেন। আদালতের উপর অনাস্থা জানিয়েছেন মোট ৫ বার। এর মধ্যে ৪ বারই তাঁর কথা শুনে উচ্চ আদালত আদালত পরিবর্তনের আদেশ দেন। অবশ্য শেষ দফায় আপিল বিভাগ তাঁর আদালত পরিবর্তনের আবেদন নাকচ করে দেন। আপিল বিভাগ বেগম জিয়ার আরেকটি আবেদনও নাকচ করেছে। যে আবেদনে তিনি সাক্ষীদের আবার জেরা করার সুযোগ চেয়েছিলেন।

এখন নিন্ম আদালতেই তাকে সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। বাংলাদেশের ফৌজদারি কার্যক্রম পর্যলোচনা করলে দেখা যায়, সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হবার পর আট থেকে দশ আদালত দিবসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি হয়ে যায়। সাক্ষ্য গ্রহণের পর মামলা নিষ্পত্তির ধাপগুলো হলো আসামির আত্মপক্ষ সমর্থন, দুপক্ষের আইনজীবীদের ‍যুক্তিতর্ক। সেই হিসেব ধরলে এতোদিনে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমান থাকার কথা। আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেছেন, ‘বেগম জিয়া আদালতে ভিআইপি মর্যাদা নিচ্ছেন। আইন সবার জন্য সমান এই নীতি তাঁর জন্য মানা হচ্ছে না।’ সরকার পক্ষের এক কৌঁসুলি প্রশ্ন করেন, ‘একজন সাধারণ মানুষকে কি আদালতে এভাবে ছয়দিন আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতো?’

চুইংগাম যখন যতোক্ষণ ইচ্ছা চিবিয়ে মুখে রাখা যায়। তেমনি বেগম জিয়া এই মামলা দীর্ঘায়িত করছেন। এরপর তাঁর আইনজীবীরাও মামলাকে ইলাস্টিকের মতো টানবেন। যুক্তি তর্কে পালাক্রমে বক্তব্য রাখবেন। এভাবে মামলাটিকে কতোদিন টানতে পারবেন বেগম জিয়া সেটাই দেখার বিষয়। এই মামলায় দণ্ডিত হলেই তিনি নির্বাচনের অযোগ্য হবেন। তাই চুইংগাম কৌশলে বেগম জিয়া কতোদিন নির্বাচনের যোগ্য থাকতে পারেন, সেটাই দেখার বিষয়।’

বাংলা ইনসাইডার

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin