প্রয়োজন হলে সংলাপ হবে: কাদের

এখন বিএনপির সাথে সংলাপের কোনো প্রয়োজন নেই। আগামী দিনে পরিস্থিতির প্রয়োজনে হলে সংলাপ হবে। আজ শনিবার আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডি কার্যালয়ে তিনি এসব কথা বলেন । প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি জাতীয় সংকট নিরসনে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছে । এই আহ্বানের প্রেক্ষিতে ওবায়দুল কাদের একথা বলেন ।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আগামী নির্বাচন নয় আগামী প্রজন্মের জন্য দিক নির্দেশনামূলক ভাষণ দিয়েছেন। ভাষণে জনগণ খুশি হয়েছে কিন্তু অখুশি হয়েছে বিএনপি। এখন বিএনপির সাথে সংলাপের কোনো প্রয়োজন নেই। আগামী দিনে পরিস্থিতির প্রয়োজনে হলে সংলাপ হবে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আগামী নির্বাচন নয় আগামী প্রজন্মের জন্য দিক নির্দেশনামূলক ভাষণ দিয়েছেন। ভাষণে জনগণ খুশি হয়েছে কিন্তু অখুশি হয়েছে বিএনপি। এখন বিএনপির সাথে সংলাপের কোনো প্রয়োজন নেই। আগামী দিনে পরিস্থিতির প্রয়োজনে হলে সংলাপ হবে। ধানমন্ডি কার্যালয়ে ওবায়দুল কাদের। পূর্বপশ্চিম

সংবিধানে নির্বাচনকালীন সরকারের স্পষ্ট বিধান নেই: বিএনপি

সংবিধানে নির্বাচনকালীন সরকার সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো বিধান নেই বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের স্বার্থে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের উপরও জোর দেন তিনি। জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ভাষণের প্রতিক্রিয়া জানাতে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সংবিধানে নির্বাচনকালীন সরকার সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো বিধান নেই। বিদ্যমান সংবিধান অনুযায়ী যদি সংসদ বহাল রেখে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে সেই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে না। কারণ সংসদ বহাল থাকা অবস্থায় নির্বাচনকালীন সরকারও হবে বিদ্যমান সরকারের অনুরুপ।

মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী যদি আন্তরিকভাবে নির্বাচনকালীন সরকার সম্পর্কে নতুন কিছু ভেবে থাকেন, তাহলে তার উচিত হবে সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের উদ্যোগ নেয়া। কারণ আমরা মনে করি, একটি আন্তরিক ও হৃদ্যতাপূর্ণ সংলাপের মাধ্যমে ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে অর্থবহ সমাধানে আসা সম্ভব।

নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে একটি প্রস্তাবনা দেয়ার ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সরকারের রুপরেখা কেমন হতে পারে তা নিয়ে আমাদের দলের একটি চিন্তা-ভাবনা আছে। কেননা একটি সুন্দর পরিবেশে সংলাপ অনুষ্ঠিত হলে জাতির মনে যে অনিশ্চিয়তা বিরাজ করছে তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে বলে আমরা আস্থা রাখতে চাই।

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, অনৈতিক ও অসাংবিধানিক সরকারের চার বছরপূর্তিতে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ভাষণে জাতি হতাশ হয়েছে। প্রত্যাশা ছিল তিনি দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্যে দেবেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তা না বলে বরং তাদের দ্বারা সংশোধিত পঞ্চদশ সংশোধনী মোতাবেক নির্বাচনের কথা বলেছেন।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পারবে না বলে দেশের মানুষ বিশ্বাস করে না।

শুক্রবার জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী ২০১৮ সালের শেষদিকে একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি বলেন, কিভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে তা আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে বলা আছে। সংবধিান অনুযায়ী নির্বাচনের আগে নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হবে। সেই সরকার সর্বোতভাবে নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন পরিচালনায় সহায়তা দিয়ে যাবে।

উল্লেখ্য, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির ভোট বর্জন করে বিএনপিসহ নিবন্ধিত তিন-চতুর্থাংশ দল। এখনো সেই দাবিতে অনড় বিএনপি। তবে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সমঝোতার সম্ভাবনা কার্যত নাকচ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

শনিবার বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
পরিবর্থন

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin