bicharpoti

প্রধান বিচারপতি নিয়োগ হবে সমঝোতার ভিত্তিতে?

সুরেন্দ্র কুমার সিনহা প্রধান বিচারপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন ১০ নভেম্বর। এরপর তিন সপ্তাহ কেটে গেছে, এখনো নতুন প্রধান বিচারপতি নিয়োগ হয়নি। জানা গেছে, সমঝোতার ভিত্তিতে বিচার বিভাগে কোনো প্রতিক্রিয়া ছাড়াই প্রধান বিচারপতি নিয়োগে আগ্রহ সরকারের। এ কারণেই সময় লাগছে বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র।

গোয়েন্দা সূত্রে সরকার জানতে পেরেছে বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি আব্দুল ওয়াহ্হাব মিঞাকে রেখে অন্য কাউকে বিচারপতি করা হলে সুপ্রিম কোর্টের ২৪ জন বিচারপতি প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারেন।

এই বিচারপতিরা হলেন, সৈয়দ এ বি মাহমুদুল হক, তারিক উল হাকিম, সালমা মাসুদ চৌধুরী, আ ফ ম আব্দুর রহমান, মো. আবু তারিক, জিনাত আরা, মুহাম্মদ আব্দুল হাফিজ, সৈয়দ রেফাত আহমেদ, মো. মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী, এ কে এম আসাদুজ্জামান, মো. আশফাকুল ইসলাম, জুবায়ের রহমান চৌধুরী, মো. ফজলুর রহমান, মইনুল ইসলাম চৌধুরী, মো. এমদাদুল হক, মো. রইস উদ্দিন, মো. এমদাদুল হক আজাদ, মো. আতাউর রহমান খান, সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম, মো. রেজাউল হক, শেখ আব্দুল আওয়াল, এস এম এমদাদুল হক, মামনুন রহমান, ফারাহ মাহবুব।

উল্লেখ্য, এই বিচারপতিরা বিএনপি আমলে ২০০৪ সাল থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে নিয়োগপ্রাপ্ত হন।

তবে নির্বাচনের আগে বিচরপতি নিয়োগ নিয়ে হাইকোর্টে কোনো ধরনের অরাজকতা দেখতে চায় না সরকার। যে কারণেই আব্দুল ওয়াহ্হাব মিঞার সঙ্গে কথা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, আব্দুল ওয়াহ্‌হাব মিঞাকে প্রধান বিচারপতি করায় কোনো আগ্রহ নেই সরকারের। তবে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিতে হবে দ্রুতই। তাই ওয়াহ্‌হাব মিঞার সঙ্গে একটি সমঝোতায় গিয়েই পরবর্তী প্রধান বিচারপতির নিয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে।

একই সঙ্গে আপিল বিভাগে কয়েকজন বিচারপতি নিয়োগেও আগ্রহী সরকার। আপিল বিভাগে বিচারপতি হতে পারে ১১ জন। সেখানে এখন আছে মাত্র ৫ জন বিচারপতি। এত অল্প সংখ্যক বিচারপতি দিয়ে দুটি বেঞ্চ গঠন করা যাচ্ছে না। যে কারণে মামলা জটে আরও আটকে পড়ছে আপিল বিভাগ। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের কথাও ভাবছে সরকার।

বাংলা ইনসাইডার

খালেদা জিয়া ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না : মির্জা আব্বাস

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপিকে ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবে না বলে সরকারের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, আজকে আওয়ামী লীগ জিয়া পরিবার ও জনগণকে সবচেয়ে বেশি ভয় পায়। এ জন্যই তারা আগামী নির্বাচন এবং খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু এ কথা স্পষ্টভাবে বলছি- এই সরকারে অধীনে এবং খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে কোনো নির্বাচন হবেনা।

আজ রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৩ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।

বিএনপির সহযোগী সংগঠন জিয়া পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, জিয়া পরিষদের নেতা ড. মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, জে. কিউ মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন প্রমুখ। জিয়া পরিষদের সভাপতি কবির মুরাদের সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন সংগঠনের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আব্দুল্লাহিল মাসুদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আব্বাস বলেন, তারেক রহমান বাংলাদেশে ফিরে আসবেন। দেশের মানুষের প্রয়োজনেই তিনি দেশে ফিরবেন। কেউ তাকে ঠেকাতে পারবেনা। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এই সরকার প্রমাণিত করতে পারেনি। আজকে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।

তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগই দুর্নীতি করে। এজন্যই তাদের সেক্রেটারি ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাজনীতিবিদেরা দুর্নীতি করে। আমিও বলছি আওয়ামী লীগই দুর্নীতি করে বলেই ওবায়দুল কাদের সে কথা বলেছেন। মনে রাখতে হবে বিএনপি দুর্নীতি করেনা।

উৎসঃ   dailynayadiganta

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin