risvi

প্রধানমন্ত্রীকে দেশ ছাড়ার প্রস্তুতি নেয়ার পরামর্শ রিজভীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী। তার দাবি, বাংলাদেশকে লুটপাট করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও তার স্বজনরা। এ কারণে তিনি নিস্তার পাবেন না। শুক্রবার রাজধানীতে এক মানববন্ধনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ কথা বলেন। বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সেলিম ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করে তার মুক্তির দাবিতে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

‘প্রধানমন্ত্রী আপনি আর বেশিদিন নেই’- মন্তব্য করে বিএনপি নেতা বলেন, ‘আপনি আর আপনার স্বজনরা জনগণকে লুটপাট করেছেন। জনগণ এখন তা ধরে ধরে আদায় করবে।’ ‘যদি নৈরাজ্য তৈরি করে দেশ চালান, জনগণ পাল্টা নৈরাজ্য তৈরি করবে। জনগণের হাত থেকে আপনি নিস্তার পাবেন না। আপনাকেও দেশ ছাড়ার প্রস্তুতি নিতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয় স্বজনদের পকেট ভারী করতেই বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে বলেও দাবি করেন রিজভী। যদিও বিদ্যুতের বাড়তি দাম কীভাবে কারও পকেটে যাবে, সেটার ব্যাখ্যা দেননি তিনি। বৃহস্পতিবার এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন ইউনিটপ্রতি বিদ্যুতের দাম গড়ে ৩৫ পয়সা করে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এ নিয়ে আটবার বাড়ানো হলো দাম।

বিদ্যুতের এই বাড়তি দাম কার্যকর হবে ডিসেম্বর থেকে। আর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আগামী ৩০ নভেম্বর হরতাল ডেকেছে বামপন্থী কয়েকটি দল। বিএনপি এ নিয়ে এখন অবধি আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেয়নি।

তবে মানববন্ধনে রিজভী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনি আবারও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করছেন গরিব- দুঃখী মানুষের পকেট কেটে আপনার আত্মীয় স্বজনের পকেট ভারী করার জন্য।’ ‘আপনি ব্যাংক, শেয়ারবাজার খেয়েছেন এখন মানুষের শেষ সম্বলটুকু কেড়ে নিতে চান। আপনার আত্মার শান্তির জন্য দাম বৃদ্ধি করছেন।’

পৃথিবীর অন্য দেশেও গুম হয়-জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্য বাংলাদেশে গুমের পেছনে গুমের ঘটনায় সরকার প্রধানের দায় স্বীকার হিসেবে দেখার কথাও জানান রিজভী। বলেন, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) সংসদের অষ্টাদশ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথিবীর অন্য দেশেও গুম হয় মন্তব্য করে নিজেই গুম করেন বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি গুমকে স্বীকৃতি দিলেন। গুমের দায় স্বীকার করে নিলেন। তিনি রাষ্ট্রের পক্ষে গুম করেন।’

‘শেখ হাসিনা সংসদে বলেছেন, গুম হয়ে আবার ফিরেও আসে। তার মানে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গেলেই গুম করা হয়। তার নির্দেশে গুম হয়। স্বার্থের হিসেব মিললে ফিরে আসার সুযোগ দেয় আর স্বার্থের হিসাব না মিললে চিরতরে গুম হয়ে যায়, যেমন ইলিয়াস আলী।’ বিএনপি প্রতিশোধে বিশ্বাসী নয় মন্তব্য করে রিজভী বলেন, ‘আইনের অধীনে বিচার হবে। কিন্তু আপনি গুম করেছেন, গুমের দায়ও স্বীকার করেছেন। তাহলে এই নৈরাজ্যের জবাব জনগণ আপনাকে দেবে।’

‘প্রধানমন্ত্রী, আর এই দু:শাসন চলবে না। আর করতে দেয়া হবে না’ মন্তব্য করে বিএনপি নেতা বলেন, ‘আপনার দিন শেষ হয়ে আসছে। যদি নৈরাজ্য তৈরি করে দেশ চালান তাহলে জনগণও পাল্টা নৈরাজ্য তৈরি করবে।’ মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষক, কর্মচারী ঐক্যজোটের অতিরিক্ত মহাসচিব জাকির হোসেন।

ঢাকাটাইমস

শহীদ জিয়ার পরিবার ও শেখ মুজিবের পরিবারের মধ্যে পার্থক্য দেখুন

শেখ মুজিবর রহমানের ছোট ভাই শেখ আবু নাসের।শেখ আবু নাসেরের দুই ছেলে,একজন হচ্ছেন শেখ হেলাল বর্তমান সংসদ সদস্য এবং আরেক ছেলে হচ্ছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক শেখ সোহেল। শেখ হেলালের মেয়ের জামাই আন্দালিব রহমান পার্থ।

শেখ সাহেবের বড় বোনের স্বামীর নাম আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের ছেলে হচ্ছেন সাবেক হুইপ আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ , আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহর ছেলে বর্তমান বরিশাল আওয়ামীলীগের প্রধান ব্যাক্তি সেরনিয়াবাত সাদেক আব্দুল্লাহ।

এবার আসুন শেখ সাহেবের সেজো বোনের ছেলে শেখ মনি, এবং শেখ সেলিম। শেখ মনির ছেলে হচ্ছে বর্তমান সংসদ সদস্য শেখ ফজলের নূর তাপস । উপরের এসব ব্যাক্তিদের চিনেন না, তাদের পরিবারের পরিচয় জানেন না এমন মানুষ বাংলাদেশে অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে খুঁজে পাওয়া যাবে না।

বাংলাদেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কয়জন ভাই আছে ঠিক এই মহুর্তে গুগুলে সার্চ না দিয়ে বলতে পারবেন? জিয়াউর রহমানের ভাইয়ের ছেলে অথবা মেয়ের নাম ঠিক এখন আপনি মনে করতে পারবেন? জিয়াউর রহমানের পাঁচ ভাইয়ের নাম আমিও ঠিক করে জানি না। কিন্তু, একবার চিন্তা করে দেখুন, এই পাঁচ জন মানুষের ভাই ছিলেন বাংলাদেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট, উনাদের ভাবী ছিলেন বাংলাদেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী!

ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকলে যেখানে একজন সামান্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের ভাই-বোন জামাই-শালা’র বিরুদ্ধে দূর্নীতির অহরহর অভিযোগ উঠে।সেখানে দেশের সাবেক প্রেসিডেন্টর এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একেবারে নিকট আত্মীয় হয়েও জিয়া পরিবারের কারো বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত চরম জিয়া বিদ্বেষী মানুষটি’ও আঙ্গুল তুলে অভিযোগ করতে পারবে না।

আমরা প্রায় সময় উদাহরণ দিয়ে থাকি, অমুক দেশের প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন সততার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। কিছুদিন আগের কথাই দেখেন, আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সৎ ভাই-বোনরা কেনিয়ার এক অজোপাড়ায় বসবাস করেন।পৃথিবীর সব চাইতে ক্ষমতাধর মানুষের ভাই-বোনে কে কেউ চিনে না। এর জন্য ওবামা আর তার ভাই-বোনদের যুগল ছবি পোস্ট করে তাতে “ওয়াও” আর “লাভ রিয়েক্টের” প্লাবন ঘটিয়ে ফেসবুকে সয়লাব করে ফেলেছিলাম।

কিন্তু ,এই আমরা,বাংলাদেশের ভিতরে ক্ষমতার শীর্ষ বিন্দুতে থাকার সুযোগ পেয়ে’ও দূর্নীতির কালিমা মুক্ত থেকে, ক্ষমতার অপব্যাবহার না করে, লোক চক্ষুর আড়ালে একমাত্র সততা’কে পুঁজি করে জীবনা-যাপন করা প্রেসিডেন্ট জিয়া’র ভাইদের নামই জানি না। আমি বাজি ধরে বলতে পারি, অনেক বিএনপি নেতা’ও হয়তো জিয়াউর রহমানের পাঁচ ভাইয়ের ছবিও দেখে নাই।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin