মনোনয়ন বানিজ্য এবং কমিটি বানিজ্যের অভিযোগে অশান্ত হয়ে উঠেছে বিএনপি। ইতিমধ্যে ফখরুলের বাড়ীতে ডিম নিক্ষেপের অভিযোগে ১২ জনকে বিএনপি থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।
ঢাকার দুই মহানগরীসহ সব মহানগরী কমিটি ভেঙ্গে দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। আর এসব ঘটনায় তৃনমূল ক্ষোভে ফেটে পড়েছে। উত্তরা থানা বিএনপি, অবিলম্বে ১২ জনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করার দাবী জানিয়েছে।
তা না হলে, মির্জা ফখরুল ইসলামকে উত্তরা থেকে বহিস্কারের হুমকি দেয়া হয়েছে। বিএনপির তৃণমূলের নেতা কর্মীরা এখন বিএনপিতে মনোনয়ন বানিজ্য এবং কমিটি বানিজ্য নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন।
জানা গেছে, বিএনপির একাধিক নেতা উত্তরা এবং যাত্রাবাড়ী আসনে মনোনয়ন বানিজ্য করেছেন। ঢাকা-৫ আসনে মনোনয়নের জন্য সালাউদ্দিন আহমেদ মির্জা ফখরুলকে নগদ ১০ লাখ টাকা দিয়েছেন।
ফখরুলের গাড়ীতে উঠে, ঐ টাকার প্যাকেট হস্তান্তর হয়েছে। গুলশানে দলীয় কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত, বিএনপির একজন কর্মী ঐ ঘটনার সাক্ষী বলে জানিয়েছেন। উত্তরার মনোনয়নের জন্য এস.এম জাহাঙ্গীর ফখরুলকে দিয়েছেন ২০ লাখ টাকা।
শুধু ফখরুল একা নয়, বিক্ষুদ্ধ বিএনপির কর্মীরা জানিয়েছেন, ড: খন্দকার মোশারফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান এবং গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এই তিন নেতাই মনোনয়ন দেবার আশ্বাস দিয়ে টাকা নিয়েছেন। নয়া পল্টনে বিএনপির উত্তরার একজন কর্মী বলেছেন ‘বিএনপির নেতারা টাকা ছাড়া কিছু চেনে না। তাদের সঙ্গে দেখা করতে গেলেও প্যাকেট নিয়ে যেতে হয়। ’
অন্য একজন নেতা বলেছেন ‘নজরুল ইসলাম খানের বাসায় খালি হাতে যাওয়া যায় না। মাছ, মুরগী নিয়ে যেতে হয়।’ অন্য একজন বলেছেন ‘গয়েশ্বর দাদাকে ফোন করেছিলাম, দেখা করবো বলে।
তিনি (গয়েশ্বর) বললেন, ‘একটা বোতল (মদ) নিয়ে এসো।’ এই হলো বিএনপি নেতাদের চরিত্র।’ অন্য একজন বলেছেন ‘এখন দুই মহানগরী কমিটি ভেঙ্গে দেয়া হবে টাকার ধান্ধায়। উত্তরে তাবিথ বড়লোক, দক্ষিণে ইশরাকের বাপের প্রচুর টাকা রেখে গেছে। দুইটাই দুধের গাই। এদের বসালে নেতারা নিয়মিত টাকা পাবেন। এজন্যই কমিটি ভাঙ্গার চিন্তা।’
অন্য একনজ কর্মী বলেছেন ‘বিএনপির নেতাদের এখন আর রোজগারের প্রধান পথ হলো কর্মীদের পকেট কাটা।’ ঐ কর্মী বলেন ‘রিজভী পর্যন্ত এখন টাকা চায়।’ এজন্যই বিএনপির তৃনমুলের কর্মীরা নেতাদের ঘেরাও করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। খুব শীঘ্রই এব্যাপারে তারা কর্মসূচী ঘোষণা করতে পারেন বলে জানা গেছে।
বাংলা ইনসাইডার