পোলিং এজেন্টদের জন্য বুলবুলের ১৭ নির্দেশনা

রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থীর এজেন্টদের আগামীকাল সোমবার সকাল সাতটার মধ্যে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ‘আপনার দায়িত্ব ও শপথ’ শিরোনামের ওই নির্দেশনায় বিএনপির প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের পোলিং এজেন্টদের ‘ইমান ও আখলাক’ এবং ‘দলের আদর্শের প্রতি’ শতভাগ অনুগত থাকতে বলা হয়েছে।

আজ রোববার সকালে এই লিখিত নির্দেশনা চূড়ান্ত করা হয়। বুলবুলের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ও জেলা বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, আজই প্রতিটি ওয়ার্ডে পোলিং এজেন্টদের হাতে হাতে এই নির্দেশনা পৌঁছে দেওয়া হবে।

১৭ দফার ওই নির্দেশনায় এজেন্টদের উদ্দেশে বলা হয়েছে, ‘আপনি পানি, শুকনা খাবার, পেন নিয়ে সকাল সাতটায় প্রস্তুত থাকবেন, আপনার ফরম প্রিসাইডিং অফিসার কর্তৃক স্বাক্ষর করে আপনার পোলিং এজেন্ট হওয়ার বৈধতা নিশ্চিত করতে হবে।’

এই নির্দেশনায় পোলিং এজেন্টদের সারা দিনের করণীয় বলে দেওয়া হয়েছে। তাতে ৪ নম্বর নির্দেশনায় বলা হয়েছে: (ক) প্রথমে ব্যালট বক্সের হিসাব নিতে হবে, (খ) ব্যালট পেপার ও সেন্টারের ভোটার সংখ্যার সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে হবে, (গ) চিহ্নিত আওয়ামী কর্মী ভোট দেওয়ার সময় কোনো অতিরিক্ত ব্যালট পেপার যেন বক্সে না ঢুকায়, সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে, (ঘ) প্রতিটি স্বচ্ছ বক্স লক করে নম্বর নিতে হবে এবং তা কাগজে লিখে রাখতে হবে, (ঙ) ভোট শেষে বক্স লক করে নম্বর লিখে রাখতে হবে, (চ) মনে রাখতে হবে, নৌকার ৮০টি ব্যালট পেপার ১০০ হিসাবে দেখানো হবে, (ছ) আর ধানের শীষের ১২০টি ব্যালট পেপার ১০০ হিসাবে গণনা করা হবে, (জ) কোনো পুলিশ সিভিল ড্রেসে আসবে এবং আওয়ামী কর্মীর সঙ্গে জোর করে ব্যালট পেপার নিয়ে যাবে। তাদের ডাকাত বলে চিৎকার করে উঠতে হবে এবং বাইরের সাহায্য নিতে হবে, (ঝ) কোনো মতেই এক সেকেন্ডর জন্যও বাইরে বের হওয়া যাবে না, (ঞ) গণনার পর নতুন ধরনের ভোট ডাকাতি হতে পারে। সেদিকেও নজর রাখতে হবে। (ট) প্রতিটি বুথে ভোটসংখ্যা অনুযায়ী ব্যালট পেপার ও বক্স বুঝে নিতে হবে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, ভোট শেষে মূল পোলিং এজেন্টকে ব্যালট পেপার-বক্সসহ আগের সংখ্যার সঙ্গে মিলিয়ে নিতে হবে। মূল পোলিং এজেন্ট ভোট গণনার পর ভোট বুঝে না পাওয়া পর্যন্ত কোনো প্রকার স্বাক্ষর দেবেন না।

আজ সকালে নিজ বাসভবনের বিএনপি প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল প্রথম আলোকে বলেন, যেসব এজেন্ট এসব নির্দেশনা মেনে দায়িত্ব পালন করবেন, দল তাঁদের মূল্যায়ন করবে এবং বীরের মর্যাদা দেবে।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin