জেলা শহরে পুলিশের ৪ জন কনস্টেবলকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে হাসপাতালে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। তারা বান্দরবান সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শুক্রবার রাতে দায়িত্বরত অবস্থায় তাদের ওপর হামলা চালানো হয় বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- হাসান আল মামুন (২০), নাজমুল হাবিব (২১), হাসান মো. শাহরিয়ার (২০) ও শাখাওয়াত হোসেন (২০)।
আহত শাখাওয়াত জানান, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে বান্দরবান রাজার মাঠ এলাকায় আমরা দায়িত্ব পালন করছিলাম। এসময় ৩ জন বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলো আমরা ধীরে চালাতে বলি। এর ১৫-২০ মিনিট পরই ৩০-৩৫ জন লাঠি নিয়ে এসে আমাদের ওপর হামলা করে।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার সুজিত কুমার রায় জানিয়েছেন, এই ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে আরিফুল হক ও সাইফুদ্দিন মুন্না নামের দুজন ছাত্রলীগ কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। অন্যদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে বান্দরবান ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মো. ইসমাইল জানান, আমরা শুনেছি হামলাকারীরা ছাত্রলীগের। ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত। তারা পুলিশ সদস্য এটা তারা জানতো না বলে আমার মনে হয়।
বান্দরবানে বৃদ্ধ দম্পতিকে কুপিয়ে হত্যা
বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাসিয়াখালী ইয়াংসায় ক্যহ্লাচিং মারমা (৭০) ও তার স্ত্রী চিংহ্লামে মারমা নামে বৃদ্ধ দম্পতিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। শনিবার সকালে নিজ বাড়ি থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ক্যহ্লাচিং মারমা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউিপ) সাবেক সদস্য।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লামা উপজেলা সদর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের ইয়াংসা ছোটপাড়া। সেখানে একটি বাড়িতে থাকতেন ওই দম্পতি। বৃদ্ধ ক্যহ্লাচিংকে গলা কেটে ও বৃদ্ধা চিংহ্লামেকে বুকে ও পেটে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। বাড়ির আলমারি ও সিন্দুক ভাঙা রয়েছে।
ইয়াংসা ছোটপাড়া এলাকার ইউপি সদস্য আপ্রুসি মারমা জানান, পাঁচ মাস আগেও বৃদ্ধের বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। তার সঙ্গে কয়েকজনের জমি নিয়ে বিরোধ ছিল।
লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেছেন, লাশ উদ্ধারে ঘটনাস্থলে গেছে পুলিশ। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
rtnn