২০১৬ সালের বাফুফে নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সহ-সভাপতি পদে জয়ী হয়ে চমক দেখিয়েছিলেন তাবিথ আউয়াল। শনিবার (৩ অক্টোবর) হওয়া ভোটেও একই পদে তিনি ছিলেন অন্যতম ফেবারিট।
কাজী মো. সালাউদ্দিনের প্যানেলের একজনকে হটিয়ে তিনি আবার জয়ী হবেন- এ ধরনের বাতাস ছিল ফুটবল অঙ্গনে। কাজী মো. সালাউদ্দিনের প্যানেলের সহ-সভাপতি প্রার্থী আমিরুল ইসলাম বাবু হেরেছেন। অল্পের জন্য ভাগ্য ঝুলে রইলো তাবিথ আউয়ালের।
সহ-সভাপতি চারটি পদের তিনটিতে জয়ী হয়েছেন বসুন্ধরা কিংসের ইমরুল হাসান, আবাহনীর কাজী নাবিল আহমেদ ও তমা গ্রুপের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক। চতুর্থ সভাপতি পদটি টাই হয়েছে। তাবিথ আউয়াল ও মহিউদ্দিন মহি সমান ৬৫ ভোট পেয়েছেন।
কে হবেন চতুর্থ সহ-সভাপতি? এ প্রশ্নের উত্তর মিলবে ৩১ অক্টোবর শনিবার। ওই দিন বাফুফে ভবনে অনুষ্ঠিত হবে এই দুইজনের মধ্যে ভোট। যে দুজনের মধ্যে সহ-সভাপতি পদে পুনঃনির্বাচন হবে তারা দুইজনই বিদায়ী কমিটির সহ-সভাপতি।
ফলাফল ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তাবিথ আউয়াল বলেছেন, ‘আমি ৩১ অক্টোবর ভোটের জন্য প্রস্তুত। আশা করি কাউন্সিলররা ভোট দিয়ে আমার গত চার বছরের কাজের মূল্যায়ন করবেন। ভোট হবে, তাই ভোটের জন্যই আমি প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা দুইজনই একসঙ্গে কাজ করেছি। আমি মনে করি, এক্ষেত্রে কাউন্সিলররা কাজের মূল্যায়নই করবেন।’
কাজী মো. সালাউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত পরিষদ শীর্ষ পাঁচ পদে ইতিমধ্যে বিজয়ী হয়েছেন। আপনি নির্বাচনে লড়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। পুনঃনির্বাচনে আপনি সম্মিলিত পরিষদের সমর্থন চাইবেন? জবাবে তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘নির্বাচনে যে ১৩৯ জন ভোটার আছেন তাদের সবার সমর্থনই চাই।’