alal-bnp

পাপিয়ার এইচআইভি পরীক্ষার দাবি আলালের

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও যুবদলের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, সর্বোচ্চ মেডিকেল টিম গঠন করে পাপিয়া ও তার সঙ্গে থাকা নারী নেত্রীদের ডিএনএ টেস্ট করা হোক। তাদের এইচআইভি পজেটিভ কিনা সে পরীক্ষা করা হোক। যদি এইচআইভি পজেটিভ থাকে তাহলে আওয়ামী লীগের সেই প্রভাবশালী নেতা এবং প্রশাসনের কর্মীরা এইচআইভিতে আক্রান্ত। এদের কারণে সারাদেশে এইডস ছড়াতে পারে- এদেরকেও গ্রেফতার করা হোক। কারণ করোনাভাইরাসের মতো এটা সারাদেশে ছড়িয়ে যেতে পারে।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট আয়োজিত ‘বেগম খালেদা জিয়া এবং বাংলাদেশের গণতন্ত্র’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আলাল বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ১১ বছর হয়েছে এখন পর্যন্ত বিস্ফোরক মামলা নিম্ন আদালত থেকে বের হতে পারেনি।

অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে আমরা যখন বলি সাংবিধানিক অধিকার তখন আওয়ামী লীগের মাখন খাওয়া কিছু আইনজীবী বলেন এটা সংবিধানে নেই। দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য পাঁচটি মৌলিক অধিকার সংবিধানে আছে। সুতরাং জামিন পাওয়া বেগম খালেদা জিয়ার সাংবিধানিক অধিকার।

তিনি বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রত্যেক ব্যবসায়ীকে চিঠি দেয়া হচ্ছে আপনারা অনুদান দেবেন। অনুদান যেন কোনোক্রমেই ১০ লাখ টাকার নিচে না হয়। ইতোপূর্বে যদি আপনি প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে দিয়ে থাকেন সেটা গ্রহণযোগ্য হবে না। তার সমপরিমাণ বিজ্ঞাপন দিতে হবে। ওবায়দুল কাদের বলে বেড়ান মুজিববর্ষে কেউ বাড়াবাড়ি করবেন না। এই একটা বাড়াবাড়ির উদাহরণ দিলাম।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, জাতির সাথে যত হাসি-মশকরা-তামাশা করছে তার হিসাব একদিন আওয়ামী লীগকে দিতে হবে। জাতিকে ধ্বংস করে সেই ধ্বংসস্তূপের ওপর প্রমোদ ভবন তৈরি করবেন, সেই প্রমোদ ভবন গুঁড়িয়ে দেয়া হবে। সুতরাং বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি না পেলে গণতন্ত্র ফিরে আসবে না। তাই দেশপ্রেমিক সৈনিকরা যেখানে আছেন ইউনিফর্ম পরাই হোক আর যে পোশাকেই হোক। দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ, তাতে উদ্বুদ্ধ হয়ে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে নামতে হবে।

ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সেলিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস‌্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমেদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, তাঁতী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।

সূত্র: জাগো নিউজ

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin