পদ্মসেতুর টাকার জন্য ব্যাংক মালিকদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ডিনার?

হঠাৎ করেই দেশের বেসরকারি খাতের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মালিক, ব্যাবস্থাপক ও প্রধান নির্বাহীদেরকে সপরিবারে গণভবনে ডেকে নিয়ে তাদের সঙ্গে ডিনার করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী গণভবনের সবুজ চত্ত্বরে অতিথিদের জন্য প্যান্ডেল তৈরি করা হয়। প্রধানমন্ত্রী ওই প্যান্ডেলে এসে ঘুরে ঘুরে বহু পদের খাবার দিয়ে তাদেরকে আদর-আপ্যায়ন করেছেন। জানা গেছে, এসবের ফাঁকে ব্যাংক মালিকদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী গুরুত্বপূর্ণ একটি মিটিংও করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের মন্ত্রীরা প্রতিদিন উন্নয়নের বুলি ছাড়লেও সরকার এখন চরম অর্থ সংকটে আছে। বিগত ৯ বছরে সীমাহীন লুটপাটের কারণে রাষ্ট্রের সবগুলো অর্থনৈতিক সেক্টরই ধ্বংস হয়ে গেছে। রাষ্ট্রীয় কোষাগারও এক রকম খালি হয়ে গেছে। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী প্রতিদিন যে উন্নয়নের নাম ফলক উম্মোচন করছেন এসব প্রকল্পের কাজ শুরু করার মতো টাকাও সরকারের ফান্ডে নেই।

আর বিশেষ করে নির্মাণাধীন ব্যয়বহুল পদ্মাসেতু নিয়ে সরকার এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মসেতু নির্মাণের কথা প্রধানমন্ত্রী বড় গলায় বললেও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেতু নির্মাণে অর্থের যোগান দিতে এখন সরকার হিমশিম খাচ্ছে। অর্থের অভাবে যেকোনো সময় পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

সরকারের বিশ্বস্ত একটি সূত্রে জানা গেছে, বেসরকারি খাতের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মালিকদেরকে প্রধানমন্ত্রী গণভবনে ডেকেছেন তাদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহের জন্য। যদিও ব্যাংক মালিকদের পরিবারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ডিনারকে হাইলাইট করে প্রচার করছে গণমাধ্যমগুলো। সূত্রটি জানায়, এই ডিনারের আড়ালে প্রধানমন্ত্রী তার আসল কাজটি সেরেছেন।
অ্যানালাইসিস বিডি

গণভবনে সপরিবারে ব্যাংক মালিকরা………………………………..
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সপরিবারে সময় কাটালেন বেসরকারি ব্যাংক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) সদস্যরা।

মঙ্গলবার বিকালে বিভিন্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিএবি নেতা ও তাদের সহধর্মিণীরা গণভবনের অনুষ্ঠানে যোগ দেন। বিএবি সভাপতি ও বেসরকারি এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।

জানা গেছে, গণভবনের সবুজ মাঠে অতিথিদের বসার জায়গা করা হয়। পরিবেশন করা হয় বিভিন্ন পদের খাবার।

বিকাল ৫টার দিকে প্রধানমন্ত্রী মাঠে ঢুকে ঘুরে ঘুরে আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তিনি এক ঘণ্টারও বেশি সময় কাটান তাদের সঙ্গে।

বিএবির সভাপতি নজরুল ইসলাম মজুমদার শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। শুভেচ্ছা পর্ব শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। এ সময় বর্তমান সরকারের সাফল্য গাঁথা জারি গান পরিবেশিত হয়।

উৎসঃ জাগোনিউজ

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin