নেপালে বাংলাদেশী বিমান বিধ্বস্ত : ৫০ যাত্রীর প্রাণহানির শঙ্কা

নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (টিআইএ) ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। সোমবার নেপালের স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে।

নেপালের স্থানীয় দৈনিক দ্য হিমালয় টাইমস বলছে, বিমান বিধ্বস্তের এ ঘটনায় প্রাণহানির শঙ্কা প্রকাশ করেছে টিআইএ। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, ৭৮ যাত্রীবাহী পুড়ে যাওয়া বিমানটির ৫০ যাত্রীর ভাগ্যে কী ঘটেছে তা এখনো জানা যায়নি।

নেপালের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব সুরেশ আচার্য বলেছেন, বিধ্বস্ত বিমানের ভেতর থেকে ১৭ যাত্রীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মুখপাত্র প্রেম নাথ ঠাকুর বলেছেন, রানওয়েতে অবতরণের চেষ্টার সময় বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। পরে বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।

ইউএস-বাংলার এস২-এজিইউ বিমানটি ঢাকা থেকে উড্ডয়নের পর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুপুর ২টা ২০ মিনিটে পৌঁছায়।

নেপাল সেনাবাহিনী ও উদ্ধারকারী টিমের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

ঢাকা থেকে নেপালের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস বাংলার একটি উড়োজাহাজ কাঠমান্ডুতে বিধ্বস্ত হয়েছে। আজ সোমবার কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়েতে এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে বিবিসি অনলাইন।

ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান আসিফ আজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পেয়েছি। আমরা ঢাকা থেকে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। বিস্তারিত জানার চেষ্টায় আছি আমরা।’

দুপুর ১২টা ৫১ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৭১ জন আরোহী নিয়ে এটি ছেড়ে যায়। নেপালে পৌঁছানোর পর স্থানীয় সময় দুইটা ২০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় ৩টা ৫ মিনিট) এটি বিধ্বস্ত হয়। তবে প্রাথমিকভাবে বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ জানা যায়নি।

নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে, অবতরণের সময় যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

নেপালের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সুরেশ আচার্য দেশটির ইংরেজি দৈনিক কাঠমান্ডু পোস্টকে বলেন, এ পর্যন্ত ১৭ জন যাত্রীকে উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।

ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মুখপাত্র প্রেম নাথ ঠাকুর বলেন, অবতরণের সময় উড়োজাহাজটিতে আগুন ধরে যায়। পরে বিমানটি পাশের একটি ফুটবল মাঠে গিয়ে পড়ে।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin