hanif

নির্বাচন এবং আন্দোলনের জন্য আ.লীগের কোনো প্রস্তুতি লাগে না: হানিফ

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, আওয়ামী লীগ জনগণের দল। নির্বাচন এবং আন্দোলনের জন্য আওয়ামী লীগের কোনো ধরনের প্রস্তুতি লাগে না। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে।

সেই নির্বাচনে অংশ নিতে আওয়ামী লীগের যা যা প্রস্তুতি নেয়া দরকার সবগুলো নেয়া হয়ে গেছে। মানবজমিনকে তিনি এসব কথা বলেন। একই আসনে অনেক প্রার্থী প্রসঙ্গে মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, এটা আওয়ামী লীগের কোনো সমস্যা না। নির্বাচন এলে দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষে সবাই কাজ করবেন।

জোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে জোট নিয়ে কোনো হিসাবনিকাশ নেই। নির্বাচনের তফসিল যখন ঘোষণা করা হবে তখন বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে। তখন এটা ইস্যু হবে। হিসাবনিকাশ তখন হবে। এটা নিয়ে আগাম হিসাবনিকাশ বা আগাম কথা বলার কিছু নেই।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলে আওয়ামী লীগের করণীয় কী প্রশ্নে মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, এখন পর্যন্ত বিএনপি আগামী নির্বাচন বর্জনের কোনো ঘোষণা দেয়নি। তারা নির্বাচনের প্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলছে মাত্র। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে কি নেবে না তা স্পষ্ট হবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর। আমরা সে পর্যন্ত অপেক্ষা করি।

তাছাড়া নির্বাচনে অংশ নেয়া না নেয়ার সিদ্ধান্ত একটি রাজনৈতিক দলের অধিকার। এখানে জোর বা বাধ্য করার কিছু নেই। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন কোন পদ্ধতিতে হবে তা আমাদের সংবিধানে স্পষ্ট বলা আছে।

এ নিয়ে বিতর্কের কোনো সুযোগ আছে বলে আমি মনে করি না। গুঞ্জন রয়েছে নির্বাচনে খালেদা জিয়াকে অযোগ্য করা হতে পারে-এ প্রশ্নে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার কোনো ইচ্ছা সরকারের নেই। বরং নিজ ও দলের অপকর্মের কারণে জনগণ থেকে খালেদা জিয়া দূরে সরে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, জনগণকে বিভ্রান্ত করে বিএনপি যদি কোনো সন্ত্রাসবাদ, নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করে সেটার ফল খুব সুখকর হবে না।

জাতিকে বিভ্রান্ত করার মাধ্যমে বিএনপি আবার ষড়যন্ত্রের প্লট তৈরি করার চেষ্টা করছে। গত কয়েক দিন বিএনপির নেতাদের বক্তব্য থেকে বোঝা যায় তারা নির্বাচনে আসতে আগ্রহী। তবে নিজেদের পরাজয় সম্পর্কে বিএনপি নিশ্চিত। নিজেদের ভুলের কারণে দলটি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ভুল রাজনীতি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও একাত্তরের পরাজিত শক্তিকে রক্ষা করার কারণে বিএনপি জনগণ থেকে পা পা করে খাদের কিনারার দিকে যাচ্ছে।

আগামী নির্বাচনে জনগণের রায় নিয়ে মহাজোট সরকার আবারো ক্ষমতায় আসবে বলে আশা প্রকাশ করে হানিফ বলেন, দেশের উন্নয়ন ও জনকল্যাণমুখী রাজনীতির কারণে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসবে। এটা নিশ্চিত জেনেই বিএনপি মিথ্যাচার করছে।

তিনি বলেন, যেকোনো ধরনের সন্ত্রাস, নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড আগামী দিনে প্রতিহত করে এই দেশে শান্তি বজায় রেখেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।

উৎসঃ   পূর্বপশ্চিম

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin