bnp-flag

নির্বাচনে যাওয়ার বিকল্প নেই বিএনপির

জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়া ছাড়া বিকল্প নেই দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপির সামনে। টানা প্রায় এক যুগ ক্ষমতার বাইরে থেকে ঢের শিক্ষা হয়েছে তাদের। পেট্রোল বোমায় ট্রেন-বাস আর মানুষ পুড়িয়ে সমালোচিত হওয়ার পাশাপাশি একদিকে যেমন ক্রমাগতভাবে সাংগঠনিক শক্তি খুইয়েছে, তেমনি অক্ষম আক্রোশে ক্ষমতার মসনদে আরো পোক্ত আসন গাঁড়তে দেখেছে প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগকে।

আগামী নির্বাচনে তাদের অংশ নেওয়া না নেওয়ার প্রসঙ্গ এখন তাই সব পর্যায়েই মুখ্য আলোচনার বিষয়। এমনকি দলীয় নেতাকর্মীরাও এখন নির্বাচন মুখী। তলে তলে তো বটেই, কোথাও কোথাও এরই মধ্যে দলীয় প্রার্থীও ঘোষণা করতে শুরু করেছে তারা।

নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বছরের পর বছর সংসদের বাইরে থেকে আন্দোলন জমিয়ে সরকারকে ক্ষমতা থেকে টেনে নামানো যে খর্ব শক্তির বিএনপির পক্ষে সম্ভব নয়, সেটা এখন সবপক্ষই বেশ ভালোভাবে বুঝে গেছে।

বিএনপির সিনিয়র নেতা, এমনকি দলীয় প্রধান খালেদা জিয়াও বিষয়টি উপলব্ধি করছেন হাড়ে হাড়ে। তাই বেশ কিছুদিন ধরে আর সরকার পতনের ডাক দিচ্ছেন না তিনি।

প্রতি ঈদের আগে আগে ঈদের পর সরকার পতনের আন্দোলনের ঘোষণা দিয়ে অনেকটা রাজনৈতিক ভাঁড়ে পরিণত হওয়া খালেদা জিয়া গত কয়েক ঈদের আগে আন্দোলনের নামও মুখে নেননি।

অসহযোগ ব্যর্থ হওয়ার পর থেকে কার্যত আর আন্দোলনের পথই মাড়াচ্ছেন না সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নেওয়া যে ভুল ছিলো তা প্রকাশ্যে স্বীকার না করলেও বিএনপির পরবর্তী রাজনৈতিক কর্মসূচি নির্বাচনমুখীই ছিলো। ইউনিয়ন, পৌরসভা আর সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় সরকারের সব পর্যায়ের নির্বাচনে বেশ স্বতঃস্ফূর্ত হয়েই অংশ নিয়েছে তারা। সর্বশেষ রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও বিএনপি প্রার্থীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেখা গেছে।

রাজনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষকে নামতেই হবে ভোটের মাঠে। সাংগঠনিক অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে এছাড়া বিএনপির কোনো গত্যন্তর নেই।

তাই যে বিএনপিকে অনেক কাঠখড় পুড়িয়েও নির্বাচনে নামানো যায়নি, তারাই এখন মুখিয়ে আছে ভোটের জন্য। এখন আর চেষ্টা করেও তাদের নির্বাচন থেকে সরিয়ে রাখা সম্ভব নয়।

বিষয়টি বুঝতে পেরেই সাম্প্রতিক কম্বোডিয়া সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপিকে এবার নাকে খৎ দিয়ে নির্বাচনে আসতে হবে। দলটির নেতাকর্মীরাও এখন আর নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচির কথা ভাবছেন না বলে আলোচনা চলছে রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে।

উৎসঃ   banglanews24

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin