mirja_fakhrul

নির্বাচনের ১০ দিন আগে সেনা মোতায়েন করতে হবে: মির্জা ফখরুল

জাতীয় নির্বাচনে ইসির ভূমিকা কী হবে তা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মাধ্যমেই বুঝা যাবে। এছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ১০ দিন আগে সেনা মোতায়েন করতে হবে।

আজ মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একথা বলেন।

এর আগেও বিএনপি মহাসচিব একাধিকবার সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছিলেন।গত বছর(২০১৭)অক্টোবরে যুবদলের এক অনুষ্ঠানে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেছিলেন,নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করতে সরকার ও নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার, সেনা মোতায়েন ও সংসদ ভেঙে দেয়ার উদ্যোগ নেবে।সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য জনগণ এই প্রত্যাশায় করে।

রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে যুবদলের ৩৯ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দেওয়ার পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল এ আশা প্রকাশ করেন।

বিএনপির মহাসচিব আরো বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার যদি অর্জন না হয়, সংসদ যদি ভেঙে দেওয়া না হয় এবং নির্বাচনে সেনা মোতায়েন যদি না করা হয়, তাহলে সেই নির্বাচন অর্থবহ হবে না, গ্রহণযোগ্য হবে এবং আগে যে সংকট, সেটা থেকেই যাবে।

বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সাংবাদিক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সংলাপকে লোক দেখানো বলে অভিহিত করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আমি আগেই বলেছি, নির্বাচন কমিশনের সংলাপ লোক দেখানো ও আইওয়াশ। সুতরাং সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচনে সেনা মোতায়েন না করলে সবার কাছে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না।

এসময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুবদল সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ অন্যান্য নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য,গত বছর (২০১৭) অক্টোবরে নতুন ‘ইসি’র সংলাপে অংশ নিয়ে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে সংসদ ভেঙে ‘সহায়ক সরকার’ এর অধীনে ভোটের প্রস্তাব দেয় দলটি। ভোটের সময় ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে সেনা মোতায়েন, ২০০৮ সালের আগের সংসদীয় আসন সীমানা ফিরিয়ে আনা, ইভিএম চালু না করাসহ ২০ দফা প্রস্তাবও দিয়েছে দলটি।

সকালে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সংলাপে এসব প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। জরুরি অবস্থার সময় থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত দলীয় চেয়ারপারসনসহ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা প্রত্যাহারের দাবিও রয়েছে দলটির।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে এ সংলাপ হয়। তবে সংলাপ শুরুর আগে সিইসি বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

প্রায় তিন ঘণ্টা সংলাপ শেষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচন কমিশনের খুব বেশি কিছু করার নেই। তারপরও এই সংলাপের পর বিএনপি কিছুটা আশাবাদী তো বটেই।

তিনি বলেন, ‘সংলাপে আমাদের ২০ দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনও তাদের সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরেছে। তবে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ আয়োজন ও সহায়ক সরকারের যে দাবির কথা তাদের বলেছি, সেই ব্যাপারে কমিশন তাদের ক্ষমতার মধ্য থেকে কিছু করার চেষ্টা করবে বলে আমাদের জানিয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করতে চায়, নির্বাচন কমিশনের এই সংলাপ বা রোডম্যাপ বা পথ নকশা নিছক কালক্ষেপণ বা লোক দেখানো কার্যক্রমে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়বে না। এই সংলাপ যেন প্রহসনে পরিণত না হয়, তা কমিশনকেই নিশ্চিত করতে হবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, সরকারের যে একটা প্রচণ্ড রকমের অগণতান্ত্রিক আচরণ, সেখানে খুব বেশি আশাবাদী হওয়ার কারণ আছে বলে তো আমরা মনে করি না। এর মধ্যেও আশার যাত্রাটা শুরু হলো বলে মনে করেন কি না-এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, কিছুটা তো বটেই, আমরা কিছুটা আশাবাদী তো বটেই।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin