nara-la

না.গঞ্জে যুবদলের মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জে আহত ৭

নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল পুলিশের লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এতে আহত হয়েছেন জেলা যুবদলের সভাপতিসহ ৭ জন যুবদলের নেতাকর্মী। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ ডাকা হয়েছিল।

শুক্রবার সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জ শহরের জিমখানা মাঠ এলাকা থেকে জেলা যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেনের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়। মিছিলটি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সামনে আসলে পুলিশ তাতে বাধা দেয় এবং লাঠিচার্জ করে নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় পুলিশের সাথে যুবদলের নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

পুলিশের বেদম লাঠিচার্জে আহত হয়েছেন জেলা যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন, ফতুল্লা থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ, জেলা যুবদল নেতা অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়নসহ সাতজন আহত হয়েছেন। আহতরা স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

জেলা যুবদলের সভাপতি দাবি করেছেন পুলিশ অহেতুক মিছিলে লাঠিচার্জ করে তাদের ৭/৮ জন নেতাকর্মীকে আহত করা হয়।

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহীন শাহ পারভেজ জানান, কোনো প্রকার অনুমতি ছাড়াই যুবদলের নেতাকর্মীরা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের উদ্দেশ্যে মিছিল বের করলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়েছে।

অন্যদিকে বিকেলে একই ইস্যূতে নারায়ণগঞ্জে পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীরা।

শুক্রবার ৩টায় শহরের মিশনপাড়ায় মহানগর যুবদলের আহবায়ক কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল করে নেতাকর্মীরা। পরে মিছিলটি শহরের ডন চেম্বার ঘুরে আবার মিশনপাড়া মোড়ে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে।

ঢাকাটাইমস

নিম্ন আদালত সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে : মওদুদ

দেশের নিম্ন আদালত সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি বলেন, এ কারণেই বিচারকরা আজ আর ‘নিজেদের ইচ্ছামতো’ আদেশ দিতে পারছেন না।

আজ শুক্রবার সকালে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম দলের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ শেষে সাবেক আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি বিএনপির চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি এবং প্রতি সপ্তাহে আদালতে হাজিরা দেওয়ারও সমালোচনা করেন।

লন্ডন থেকে চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার পর জিয়া জিয়া চ্যারিটেবল ও অরফানেজ ট্রাস্ট দুই মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নিয়মিত আদালতে হাজিরা দিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দিচ্ছেলেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বারবার তাঁর স্থায়ী জামিনের আবেদন জানালেও আদালত তা নাকচ করে দেন।

গতকাল বৃহস্পতিবারও এক মামলায় রাজধানীর বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হরতাল চলাকালে নিরাপত্তার কারণে তিনি সকালে আদালতে যেতে পারেননি। পরে তাঁর আইনজীবীরা দুপুরের পর আদালতে হাজির হওয়ার আবেদন জানান।

কিন্তু বিচারক সময়মতো আদালতে হাজির না হওয়ায় সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। চিকিৎসার জন্য লন্ডনে থাকাবস্থায়ও একই আদালত দুই মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন। দেশে ফিরে পরপরই তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন এবং নিয়মিত হাজিরা দিয়ে আসছিলেন। তাঁর আইনজীবীরা জানিয়েছেন ৬ ডিসেম্বর খালেদা জিয়া আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইবেন।

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এভাবে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করায় বিস্ময়প্রকাশ করেন মওদুদ আহমদ। বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, ‘আমার ৫০ বছরের অভিজ্ঞতায় কোনোদিনও শুনিনি যে, সাপ্তাহিক জামিন নিতে হয়। সপ্তাহিক জামিন হলো বিরোধী দলের নেত্রীর জন্য আরো বেশি নির্যাতন, আরো বেশি অপমানজনক।’

‘এটা সম্ভব হয়েছে কারণ, আমাদের দেশের নিম্ন আদালত সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে বলে। সেই কারণে তাঁরা (বিচারক) আজকে এই ধরনের আদেশ দিয়েছেন।’

সাবেক আইনমন্ত্রী আরো বলেন, ‘কাল অর্ধদিবস হরতালের কারণে খালেদা জিয়া আদালতে যেতে পারেননি। আদালতে বলা হয়েছে, তিনি (খালেদা জিয়া) আসবেন ২টার পরে। কিন্তু তা সত্ত্বেও আদালত তাঁর জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিলেন। এ ধরনের আচরণ আমরা বিচার বিভাগ থেকে প্রত্যাশা করিনি।’

‘প্রকৃত সত্য হলো, যেহেতু বিচারকদের স্বাধীনতা নেই ফলে তাঁরা নিজেদের ইচ্ছামতো আদেশ দিতে পারছেন না। ফলে তাঁরা এই ধরনের আদেশ দিতে বাধ্য হচ্ছেন’, যোগ করেন মওদুদ।

আদালত খুব খারাপ একটা দৃষ্টান্ত দেখিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন মওদুদ। তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়া বিদেশে ছিলেন। বিদেশ থেকে ফেরার পর যখনই আদালত ডেকেছেন তখনই তিনি গেছেন, আদালতকে যত রকম সম্মান দেখানোর দরকার তা তিনি দেখিয়েছেন। তারপরও তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বিস্ময়কর।’

সূত্র: ntvbd

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin