নাসিক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী আইসিসিইউতে

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে অসুস্থ অবস্থায় রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালের আইসিসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে চিকিৎসার জন্য তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় আনা হয়।

বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটার দিকে তাকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেয়র আইভীর ছোট ভাই আলী আহম্মদ রেজা উজ্জল।

এর আগে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে ঢাকা উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে আওয়ামী লীগ নেতা আবু সুফিয়ান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এব্যাপারে মেয়রের ব্যক্তিগত সহকারী আবুল হোসেন জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে নগর ভবনে থাকার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন আইভী। তাকে তাৎক্ষণিকভাবে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মেয়রকে ঢাকায় চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসক।

নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল সার্জন (আরএমও) আসাদুজ্জামান জানান, বিকেল ৪টার দিকে মেয়র আইভীকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। পরে চার সদস্যের একটি মেডিকেল টিম তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবারের সংঘর্ষে আহত আইভী বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বেশি অসুস্থ অনুভব করেন। এরপর কয়েকবার বমি করলে তাকে স্যালাইন দেয়া হচ্ছিলো। তবুও শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় নিয়ে আসার পরামর্শ দেন। এরপর বিকাল ৪ টায় মেয়র আইভীকে নিয়ে একটি অ্যাম্বুলেন্স ঢাকার দিকে রওনা হয়।

এর আগে সংঘর্ষের বিষয়ে বুধবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছিলেন, হত্যার উদ্দেশ্যেই তার ওপর হামলা করা হয়েছে। তিনি বলেন: আধাঘণ্টা রাস্তায় পড়ে ছিলাম, তখন পুলিশ আসতে পারতো। ত্বকী হত্যার ঘটনায় সবচেয়ে বেশি আন্দোলনে তো আমিই ছিলাম। তখন তো পুলিশ চলে আসতো মাঝখানে। একতরফা এভাবে কেউ মার খাইনি।

‘আমার দেড়শ’ থেকে দুইশ’ কর্মীকে আহত করলো। আমার কর্মীদের সবার মাথা ফাঁটা। আমার ভাই আহত, আমি হাঁটতে পারি না। প্রশাসন আমাকে ইনফর্ম করতে পারতো। বলতে পারতো, ওখানে এত বড় ঘটনা ঘটতে পারে, আপনি যাবেন না ওখানে। আমরা যারা মানুষের জন্য কাজ করি তারা জন্মমৃত্যু নিয়েই কাজ করি।

নারায়ণগঞ্জের ফুটপাতে হকার বসানোকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সাংসদ শামীম ওসমান ও মেয়র আইভী সমর্থকদের সংঘর্ষে মেয়র আইভী, সাংবাদিকসহ শতাধিক আহত হয়। প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়াসহ দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

শুক্রবার জিয়ার মাজারে যাবেন খালেদা জিয়া

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন তার সহধর্মিনী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

শুক্রবার সকালে জিয়াউর রহমানের ৮২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শের-ই বাংলা নগরস্থ তার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন, ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করবেন বেগম খালেদা জিয়া। এ উপলক্ষে মাজারের উদ্দেশ্যে শুক্রবার সকাল ১০.৩০টায় তার গুলশানের বাসভবন থেকে রওয়ানা হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তার প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার।

জিয়াউর রহমানের ৮২তম জন্মদিন শুক্রবার
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮২তম জন্মবার্ষিকী শুক্রবার। ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলীর ছায়াসুনিবিড় নিভৃত জনপদ বাগবাড়ীর এক বনেদি মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন।

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার হিসেবে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন জিয়াউর রহমান। মুক্তিযুদ্ধে তার নামে গড়ে ওঠা একটি স্বতন্ত্র সেক্টর জেড ফোর্সের নেতৃত্ব দিয়ে রণাঙ্গনে দুঃসাহসিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।

জিয়াউর রহমান শিক্ষাজীবন শেষে ১৯৫৩ সালে যোগ দেন সেসময়ের পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে। ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ বাঙালি জাতির সংকট মুহূর্তে চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে তার কণ্ঠে ভেসে আসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা। একাত্তরের রণাঙ্গনে জিয়াউর রহমান ছিলেন অসম সাহসী।

১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর ‘সিপাহী জনতার বিপ্লবের’ মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে অধিষ্ঠিত হন জিয়াউর রহমান। তিনি ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন। বিএনপি তিনবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিল। ১৯৮১ সালের ৩০মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সেনাবাহিনীর একটি অংশের অভ্যুত্থানে শহীদ হন জিয়াউর রহমান।

স্বাধীনতা-উত্তর দুঃসহ স্বৈরাচারী দুঃশাসনে চরম হতাশায় দেশ যখন নিপতিত, জাতি হিসেবে আমাদের এগিয়ে যাওয়া যখন বাধাগ্রস্ত ঠিক তখনই জিয়াউর রহমান জনগণের নেতৃত্বভার গ্রহণ করেন। ক্ষমতায় এসেই মানুষের হারানো অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। নিশ্চিত করেন মানুষের বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা’।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin