hasina_003

নাকে খত দিয়ে নির্বাচনে আসবে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী

বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে তাদের সঙ্গে আলোচনা বা বিশেষ কোনো উদ্যোগের সম্ভাবনা নাকচ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে বিএনপি এবার ‘নাকে খত দিয়ে’ নির্বাচনে আসবে বলে মনে করেন তিনি।

তিন দিনের কম্বোডিয়া সফর নিয়ে বৃহস্পতিবার গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান বিএনপি।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্য অনেক প্রশ্নের মধ্যে গুরুত্ব পায় আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সরকার কিছু করবে কি না। এর জবাবে স্পষ্টতই কোনা উদ্যোগ না নেয়ার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।

আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে বাগানের সেরা ফুলটাই বেছে নেবেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আমাদের কোনো প্রার্থী ডেঞ্জার অবস্থানে নেই। প্রার্থী হতে চাওয়া দোষের কিছু নয় বরং রাজনৈতিক অধিকার। শত ফুল ফুটুক। তবে ভালো ফুলটাই আমরা নির্বাচনের জন্য বেছে নেব।

কম্বোডিয়া সফর শেষে দেশে ফিরে বৃহস্পতিবার গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।

ভোটের মৃদুমন্দা হাওয়া বইছে উল্লেখ করে দৈনিক সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার প্রশ্ন রাখেন, পত্রিকায় অসংখ্য প্রার্থীর নাম আসছে। নাম ছাপলে আপনার নজরে আসবে। আওয়ামী লীগ যেহেতু বড় দল। আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন ও প্রার্থী দেয়া না দেয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উত্তর একটাই সব ফুল ফুটতে দিন।

অনেকে প্রার্থী হতে চান, ভালো কথা। এটা তাদের রাজনৈতিক অধিকার। কেন সবাই প্রার্থী হতে পারবেন না? শত ফুল ফুটবে। হোক না। শত ফুলের মধ্যে যেটা ভালো সব থেকে সুন্দর ফুল সেটা আমরা বেছে নেবো। সময় এলে আপনারা দেখতে পারবেন। আর কীভাবে নেবো সেটা সময়ই বলে দেবে।

আগাম নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন সিইসি। এমতাবস্থায় আগাম নির্বাচনের ব্যাপারে সরকারের অবস্থান জানতে চেয়ে সিনিয়র সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুলের করা প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পার্লামেন্টারি সিস্টেমে যে কোনো সময় নির্বাচন দেয়া যায়।

তবে এমন কোনো দৈন্যদশায় পড়িনি, বা সমস্যায় পড়িনি যে, এখনই নির্বাচন দিতে হবে। তবে আমাদের উন্নয়নের ধারা আমরা অব্যাহত রেখেছি। উন্নয়নের কাজগুলো আমরা দ্রুত এগিয়ে নিতে চাই।

আমরা না থাকলে উন্নয়নের যে কি দশা হয় তা আপনারা দেখেছেন। ৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত যেগুলো আমরা করেছিলাম, যেগুলো বাকি ছিল সেগুলো আর সচল থাকেনি। উন্নয়নের সে ধারা অব্যাহত রাখেনি।

২০০৯ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে আমরা যে উন্নয়ন করেছি তা চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি অন্য কোনো সরকার করতে পারে নাই। বিশ্বব্যাংকের যে দুর্নীতির যে অভিযোগ তা চ্যালেঞ্জ করার মতো সৎসাহস আমরাই দেখিয়েছি- বলেন প্রধানমন্ত্রী।

ঢাকাটাইমস

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin