nazmul_huda

ধানের শীষ থেকে নৌকায় হুদা!

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এখনও প্রায় এক বছর বাকি থাকলেও এখন থেকেই মনোনয়নপ্রত্যাশীরা নানামুখী সমীকরণ মেলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। ঠিক তারই প্রমাণ মিলল বিএনপির এক সময়ের প্রভাবশালী নেতা নাজমুল হুদার কথায়। ক’দিন আগেই তার বিরুদ্ধে চলা দুর্নীতি মামলার সাজা কমিয়ে চার বছর করেছেন উচ্চ আদালত।এরই মাঝে নাজমুল হুদা পরিবর্তন ডটকমকে জানালেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটে যোগ দিয়ে তিনি নির্বাচন করতে চান।নাজমুল হুদা টেলিফোনে পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্ত করতে চাই আমি।’

এক্ষেত্রে মহাজোটে যুক্ত হয়ে নৌকা প্রতীকে আগামী নির্বাচনে অংশ নেবেন তিনি। আর প্রধানমন্ত্রী তাকে এ বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন।ধানের শীষ থেকে নৌকায় আসা প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘ডিগবাজি খাওয়ার ইতিহাস আমার নেই। আমি চাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত আরো শক্ত করতে।’‘আমি দল পরিবর্তন করছি না। শুধু জোট পরিবর্তন করছি।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে কথা দিয়েছেন, আমি মনোনয়ন পাবো। তবে দোহার থেকে নয়, আমি এবার লড়বো গুলশান থেকে। আমি বিশ্বাস করি তার (প্রধানমন্ত্রী) দেয়া কথা ভঙ্গ হবে না,’ বলেন নাজমুল হুদা।বিএনপির প্রতিও ক্ষোভ ঝাড়েন নাজমুল হুদা। তিনি বলেন, ‘২০দলীয় জোটের সাথে থেকে আমি যে সম্মান পাইনি, তা ১৪ দলে থেকে পাবো।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মহাজোটে যুক্ত হবার সাথে আমার বিরুদ্ধে দেয়া দুর্নীতি মামলার রায়ের কোনো সম্পর্ক নেই। ওটা আইনি বিষয়। আর এটা রাজনৈতিক। এই রায় তো এস কে সিনহা স্বৈরাচারি কায়দায় দিয়েছিলেন। আমার বিরুদ্ধে আক্রোশ মেটাতে।’দল পাল্টানো, ভোল পাল্টানো – কখনোবা দুর্নীতির কারনে আলোচনায় এসেছেন বিএনপি আমলের যোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা।

দুর্নীতি ছাড়েনি তার স্ত্রী সিগমা হুদাকেও। স্বামীর সঙ্গে স্ত্রীরও সাজা হয়েছে দুর্নীতির দায়ে।প্রসঙ্গত, দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কার্যকলাপের জন্য ২০১০ সালে তৎকালীন ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাকে বহিষ্কার করেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এরপর তিনি গঠন করেন বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ)। পরবর্তী সময়ে তাকে বিএনএফ থেকেও বহিষ্কার করা হন।

পরে গত মে মাসে তিনি গঠন করেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স-বিএনএ। তবে তাতেও তেমন সাড়া পাননি।তিনি সর্বশেষ আলোচনায় আসেন গত ১৮ই নভেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়া উপলক্ষে আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে উপস্থিত হয়ে। সেখানে তাকে বসে থাকতে এবং কথা বলতে দেখা যায় ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রীদের সাথে।

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে কথা বললে তারা পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘মহাজোট স্বাধীনতার পক্ষের সবার জন্য উন্মুক্ত। এখানে যারা জনগণমুখী তারা সুযোগ পাবে।’

‘মহাজোটের মন অনেক বড়। আমার কাছে মনে হয়েছে তিনি (নাজমুল হুদা) স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করছেন। তিনি যুক্ত হলে তো ভালোই হবে,’ যোগ করেন তিনি।হুদার যোগদান প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ পরিবর্তনকে বলেন, ‘আমাদের তো একটি ১৪-দলীয় জোট আছেই। ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে মহাজোট করেছিলাম। এবারও নির্বাচনে মহাজোট হবে।

আমরা উনার (নাজমুল হুদার) কার্যকলাপ লক্ষ্য করেছি। আমাদের কাছে মনে হয় তিনি স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি। এতে করে মহাজোট আরো শক্তিশালী হবে। জনগনমুখীরা অবশ্যই মহাজোটে সুযোগ পাবেন। আর মামলার বিষয়টি তার ব্যক্তিগত।’

poriborton

বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিটে বাড়ল ৩৫ পয়সা

ফের বেড়েছে বিদ্যুতের দাম। পূর্বের তুলনায় ৫.৩ শতাংশ দাম বৃদ্ধির ঘোষণা আসায় এখন বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিটে বাড়বে ৩৫ পয়সা। বিকালে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন- বিইআরসি বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর এক সংবাদ সম্মেলনে দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়া হয়।

বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় কারওয়ানবাজারের বিইআরসি ভবনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সর্বশেষ ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিদ্যুতের দাম গড়ে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ বাড়িয়েছিল সরকার। তাতে মাসে ৭৫ ইউনিট পর্যন্ত ব্যবহারকারীদের খরচ বাড়ে ২০ টাকা; ৬০০ ইউনিটের বেশি ব্যবহারে খরচ বাড়ে কমপক্ষে ৩০ টাকা।

চলতি বছর মার্চে বিভিন্ন খাতে গ‌্যাসের দাম ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ার পর বিদ্যুতের দাম সমন্বয়ের কথা বলেন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।

এরপর এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন গত সেপ্টেম্বরে বিতরণ কোম্পানিগুলোর প্রস্তাব যাচাই-বাছাই করে শুনানির আয়োজন করে। সেখানে পাইকারিতে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম প্রায় ১৫ শতাংশ এবং গ্রাহক পর্যায়ে ৬ থেকে সাড়ে ১৪ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব আসে।

এর মধ্যে ডিপিডিসি গ্রাহক পর্যায়ে ৬.২৪ শতাংশ, ডেসকো ৬.৩৪ শতাংশ, ওজোপাডিকো ১০.৩৬ শতাংশ, আরইবি ১০.৭৫ শতাংশ এবং পিডিবি ১৪.৫ শতাংশ দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়।

উৎসঃ   jugantor

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin