দ্বোরাইস্বামীর সাথে সাক্ষাত করতে মরিয়া বিএনপি

ভারতের নতুন রাষ্ট্রদূত বিক্রম দ্বোরাইস্বামী এসেছেন মাত্র। এর মধ্যেই তিনি কর্মব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। রাষ্ট্রপতির কাছে আনুষ্ঠানিক পরিচয় পত্র দেয়ার পর তিনি বসে নেই। স্পীকার এবং প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন। বৈঠক করেছেন, একাধিক মন্ত্রীর সাথে।

কিন্তু এখন পর্যন্ত বিএনপি নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কোন আনুষ্ঠানিক বৈঠক করেননি ভারতীয় রাষ্ট্রদূত। ভারতীয় দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, প্রটোকল গত জটিলতার কারণে বিএনপি নেতৃবৃন্দর সঙ্গে বৈঠক হয়নি। রাষ্ট্রদূত সাধারণত, সরকারের প্রধান এবং মন্ত্রীসভার সদস্যদের সাথে বৈঠক করেন। সংসদে বিরোধী দলের নেতৃবৃন্দ অথবা গুরুত্বপূর্ণ এমপিদের সাথেও সাক্ষাত করেন।

কিন্তু বিএনপি নেতৃবৃন্দ এর কোনটার আওতাভুক্ত নন। জাতীয় সংসদে এখন প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। বিএনপি মহাসচিব সহ স্থায়ী কমিটির কোন সদস্যই জাতীয় সংসদের সদস্য নন। এরকম পরিস্থিতিতে, সহসাই বিএনপি নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠকে আগ্রহী নন দোরাইস্বামী। 

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, দোরাইস্বামীর প্রথম লক্ষ্যই হলো, সরকারের আস্থা এবং বিশ্বাস অর্জন করা। দু দেশের সম্পর্কের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে যে অস্বস্তি এবং অবিশ্বাস তৈরী হয়েছে তা দূর করা। আর এজন্যই দোরাইস্বামী শুরুতেই সরকারের আস্থা অর্জনে ব্যস্ত। তিনি ঢাকায় এসে প্রথমে দূতাবাসে যাননি। প্রথমে গেছেন, বঙ্গবন্ধু ভবনে। সীমান্ত হত্যা বন্ধ সহ একাধিক বিষয়ে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন। 

কূটনীতিক সূত্র গুলো বলছে, এসেই বিএনপির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে একটা ভুল বার্তা যাবে। এটা ভারত চায় না। কিন্তু নতুন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে প্রথম থেকেই ঘনিষ্ঠ হবার জন্য মরিয়া বিএনপি। একাধিক মাধ্যমে তারা, দোরাইস্বামীর সাক্ষাৎ চেয়েছেন। দোরাইস্বামীর দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য তারা (বিএনপি) ভারত বিরোধী কোন বক্তৃতা বিবৃতি দিচ্ছেন না। একারনেই বিএনপি মহাসচিব পুজা মন্ডপে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

বিএনপি মহাসচিব বোঝানোর চেষ্টা করছেন যে, বিএনপি ভারত বিরোধী নয় এবং বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যাপারে তারা অত্যন্ত সংবেদনশীল। কিন্তু এসব শর্তেও এখন পর্যন্ত দোরাইস্বামীর দৃষ্টি আকর্ষন করতে পারেননি বিএনপি নেতৃবৃন্দ। 

সংশ্লিষ্ট সূত্র গুলো বলছে, রাষ্ট্রদূত বদল হলেও বিএনপির ব্যাপারে ভারতের অবস্থানের কোন পরিবর্তন হয়নি। ভারত বিএনপির নেতৃত্ব থেকে তারেক জিয়ার অপসারণ চায় এবং জামাতের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক ত্যাগ চায়। কিন্তু এদুটি বিষয়ে বিএনপি তার আগের অবস্থান থেকে সরে আসেনি। তাই চটজলদি দ্বোরাইস্বামীর সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠকের সম্ভাবনা কম।

বাংলা ইনসাইডার

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin