গণতন্ত্র ধ্বংসকারী অপশক্তিগুলোর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি চেয়াপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, মানুষ তার সব ধরনের নাগরিক অধিকার হারিয়েছে। অতীতের বাকশাল এখন নবসংস্করণে ভয়াল রুপ ধারণ করেছে।
তিনি বলেন, একনায়কতান্ত্রিক দুঃশাসনের শৃঙ্খল থেকে গণতন্ত্রকে উদ্ধার করতে গিয়েই শহীদ হয়েছিলেন ডাঃ শামসুল আলম খান মিলন। ফলে গণতন্ত্রের জন্য তাঁর এই সর্বোচ্চ আত্মদান এদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তিনি সকল কর্তৃত্ববাদী, স্বৈরাচারী গণতন্ত্রবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে আমাদের অবিরাম প্রেরণার উৎস।
রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমাদের গণতন্ত্র আবারও গভীর খাদের কিনারে গিয়ে পড়েছে। ৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আবারও গণতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় দুঃশাসনের করাল গ্রাসে গিলে ফেলা হয়েছে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলা।
মানুষের জীবন এখন দুর্বিষহ মন্তব্য করে তিনি বলেন, গণতন্ত্রের শত্রুরা গণতন্ত্রের সকল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে ফেলেছে। মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা অপহরণ করা হয়েছে। মানুষের কথা বলা ও ভোটের অধিকার হরণ করে অতীতের বাকশাল এখন নবসংস্করণে ভয়াল রুপ ধারণ করেছে। তাই গণতন্ত্রকে মজবুত ভীতের ওপর দাঁড় করাতে হবে। আর তাহলেই ডাঃ মিলনের আত্মত্যাগ সার্থক হবে।
বিএনপিপ্রধান বলেন, শহীদ ডাঃ শামসুল আলম খান মিলন সামরিক শাসন বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় নাম। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন চলাকালে ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর তৎকালীন স্বৈরাচারী সরকারের লেলিয়ে দেয়া পেটোয়া বাহিনীর গুলিতে শহীদ হন তিনি। তাঁর শাহাদৎ বার্ষিকীতে আমি তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করি।
ব্রেকিংনিউজ
গণতন্ত্র গভীর খাদের কিনারে : খালেদা জিয়া ……
গণতন্ত্র আবারও গভীর খাদের কিনারে গিয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আবারও গণতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় দুঃশাসনের করাল গ্রাস গিলে ফেলেছে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলা। গণতন্ত্রের শত্রুরা গণতন্ত্রের সকল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে ফেলেছে।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষে সোমবার সকাল ৭-৩০টায় বাংলাদেশ বিএনপি এবং ৯০’র ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যের উদ্যোগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্ত্বরে শহীদ ডা: শামসুল আলম মিলন এর কবর এবং টিএসসি মোড়ে মিলন চত্তরে সকাল ৮-০০টায় পুস্পার্ঘ্য অর্পণ করা হবে। পুস্পার্ঘ্য অর্পণ অনুষ্ঠানে বিএনপি এবং ৯০’র ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
শহীদ ডাঃ মিলন দিবস উপলক্ষে রোববার দেয়া বাণীতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা অপহরণ করা হয়েছে। মানুষের জীবন এখন দুর্বিষহ। মানুষের কথা বলা ও ভোটের অধিকার হরণ করে অতীতের বাকশাল এখন নবসংস্করণে ভয়াল রুপ ধারণ করেছে। গণতন্ত্র ধ্বংসকারী অপশক্তিগুলোর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিতে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। গণতন্ত্রকে মজবুত ভীতের ওপর দাঁড় করাতে হবে। আর তাহলেই ডাঃ মিলনের আত্মত্যাগ সার্থক হবে।
খালেদা জিয়া বলেন, শহীদ ডাঃ শামসুল আলম খান মিলন সামরিক শাসন বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় নাম। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন চলাকালে ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর তৎকালীন স্বৈরাচারী সরকারের লেলিয়ে দেয়া পেটোয়া বাহিনীর গুলিতে শহীদ হন তিনি। গণতন্ত্রের জন্য তার এই সর্বোচ্চ আত্মদান এদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। সকল কর্তৃত্ববাদী, স্বৈরাচারী গণতন্ত্র বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে ডা: মিলন আমাদের অবিরাম প্রেরণার উৎস।
শহীদ ডাঃ মিলন দিবস উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অনুরুপ বাণী দিয়েছেন।
আস