mossaraf_khon

দেশে বর্তমানে কোন সরকার নেই: ড.মোশাররফ

‘দেশে বর্তমানে কোন সরকার নেই। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে বর্তমানে যারা ক্ষমতায় রয়েছে তারা জনগণের সরকার নয়। আর সেই জন্যই বর্তমানে জনগণ সবচেয়ে বেশি দুর্দশা ও কষ্টের মধ্যে রয়েছে।’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

রবিবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, নির্বাচনের আগে সরকার বলেছিল ১০ টাকা দামে চাল দেবে। এখন মোটা চালের কেজি ৫০ টাকা। বিএনপির আমলে বিদ্যুতের ইউনিট ছিল ২.৮০ টাকা যা এই সরকারের আমলে বেড়ে ৮.৫০টাকাই দাঁড়িয়েছে।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, ৯৬ সালে আওয়ামী লীগ বলেছিল সরকারি দলের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। নির্বাচন সহায়ক সরকারের অধীনেই হতে হবে। এই সহায়ক বা তত্ত্ববাধয়ক সরকারের দাবিতে তারা গাড়ি পুড়িয়েছিল। এখন সেই আওয়ামী লীগই বলছে সহায়ক সরকার বলতে কিছু নেই।

তিনি বলেন, আমরা ৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সহ অন্যান্য দলের দাবির প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে সংবিধান পরিবর্তন করে তত্ত্ববাধয়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করেছিলাম, কারন সংবিধান জনগণের জন্য, জনগণ সংবিধানের জন্য নয়।

ড. মোশাররফ বলেন, ৭ কলেজের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশী হামলা ও নির্দয়ভাবে গুলি করা হয়েছে। এরপর ১২ শত শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছে। পুলিশের কাদানি গ্যাসের টিয়ারসেলে তিতুমীর কলেজের ছাত্র মো. সিদ্দিকুর রহমানের দুই চোখের মনি নষ্ট হয়ে গেছে। অন্ধ হয়ে যাওয়ার এই দায় কে নেবে ?

তিনি আরো বলেন, পত্রিকায় দেখলাম তারা দোতালা বিল্ডিং বানিয়ে ফেলেছে রড ছাড়া। ইতিপূর্বে রডের পরিবর্তে বাঁশের ব্যবহার আমরা দেখেছি। জাতি নৈতিকভাবে কত অবক্ষয় হলে কলেজ যেখানে ছাত্র-ছাত্রীরা লেখাপড়া করবে সেখানে রড ছাড়া দুইতালা বিল্ডিং বানানো হয়। যেকোনো সময় এটা ধসে পড়ে শত শত ছাত্র-ছাত্রী মারা যাবে। এই সরকার শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে এই অবস্থা তৈরি করেছে।

মোশাররফ বলেন, একাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার প্রশাসনকে নিজের মত করে সাজাচ্ছে। নির্বাচন কমিশনারের অজান্তে মাঠ পর্যায়ে রদবদল এবং সর্বশেষ কমিশনের সচিব পদে পরিবর্তন করা হয়েছে। এতে প্রমাণিত হয় ইসির রোডম্যাপ বর্তমান সরকারকে আবারো অবৈধভাবে ক্ষমতায় নিয়ে যাওয়ার প্রয়াস মাত্র।

মোশাররফ আরো বলেন, এই সরকারের রিজার্ভ চুরির মত ঘটনা ঘটেছে। যা বিশ্বের কোথাও আগে ঘটেনি।একদিন হয়তো বেরিয়ে আসবে সরকারি দলের লোকেরা এর সাথে জড়িত ছিল। সেদিন এর বিচারও হবে।

আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, এড. আহমেদ আজম খান, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সুকমল বড়য়া প্রমুখ।

rtnn

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin