দেশে ইয়াবা আমদানি করেন খালেদাপুত্র: খালিদ

যুব সমাজকে ধ্বংস করতে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার ছোটছেলে আরাফাত রহমান কোকো দেশে জীবনবিনাশী ইয়াবার আমদানি করেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

দিনাজপুরের বিরল উপজেলায় কয়েকটি গ্রামে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার বিকালে তিনি এই কথা বলেন।

মাদকের বিস্তারকে দেশের জন্য ভয়াবহ সমস্যা আখ্যা দিয়ে এর বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর যুদ্ধ ঘোষণায় সমর্থন আছে কি না- জানতে চাইলে উপস্থিত কয়েক হাজার লোক দুই হাত তুলে মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের চলমান অ্যাকশনে সমর্থন জানান।

খালিদ বলেন, ‘বিএনপি গোটা দেশে মাদকের সাম্রাজ্য গড়ে তোলে, দেশের যুব ও তরুণ সমাজকে অন্ধকারে ও বিপথে ঠেলে দিয়ে হাজার হাজার কোটি কালোটাকার পাহাড় গড়েছিল। খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে ছিল এ মাদকের গডফাদার। বিদেশে সে মাদকাসক্ত অবস্থায় মারা গেছে।’

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘বিএনপি দেশের জনগণকে বিদ্যুতের অভাব আর মাদকের ছোবল দিয়ে অন্ধকারে রেখেছিল। আর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ ও তথ্যপ্রযুক্তির ছোঁয়ায় দেশের জনগণকে আলোকিত করেছেন। আজকে দেশের জনগণ যোগাযোগ প্রযুক্তির সুবিধার কারণে বিশ্বের যেকোনো জায়গায় স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন। নতুন প্রজন্ম নিজেকে গড়ে তুলতে পারছে বিশ্ব মডেলে।’

খালিদ বলেন, ‘তরুণ সমাজকে রক্ষায় এবার প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে অলআউট অ্যাকশনে নেমেছেন। জাতির বৃহত্তর স্বার্থে দলমত নির্বিশেষে মাদক সম্রাটদের বিরুদ্ধে এই অ্যাকশন চলবে। সারাদেশের মানুষ এই অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়েছে; কিন্তু বিএনপি নানা ছল-ছোতায় এই অভিযানের বিরুদ্ধে কথা বলে যাচ্ছে। বিএনপি এই জাতিকে অন্ধকারে রাখতে চায়। এ দেশের সম্ভাবনাকে ধ্বংস করতে চায়।’

‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুব সমাজকে আলোর পথে নিয়ে আসতে চান। নতুন প্রজন্মকে বিশ্বমাপের করে গড়ে তুলতে চান। প্রজন্ম রক্ষায় শেখ হাসিনার প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখতে হবে। বিএনপি ক্ষমতায় আসতে পারলে দেশের প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে যাবে।’

জেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার হরেন্দ্র নাথ বর্মনের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম আব্দুল লতিফ, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, অধ্যাপিকা সুফিয়া নাহার মঞ্জু, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মালেক, সাধারণ সম্পাদক মিঠুন চন্দ্র রায়।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin