bnp-flag

দু’দিন পর জানা যাবে বিএনপির মেয়র প্রার্থীর নাম!

দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে মনোনয়নপত্র ক্রয় ও জমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত হলেও দলীয় প্রার্থী নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। দলের পক্ষ থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিতে বেধে দেয়া সময়ের পর প্রার্থীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

শনিবার রাত ৯টা ৪০ মিনিটে চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে বৈঠকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, লে. জে. (অব.) মাহবুুর রহমান, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, আবদুল মঈন খান, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) উপ-নির্বাচনে দলের মনোনয়নপত্র রোববার সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে সংগ্রহ করতে হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের ১০ হাজার টাকা দিয়ে মনোনয়নপত্রের ফরম কিনতে হবে। এছাড়া ১৫ জানুয়ারির মধ্যে আরও ২৫ হাজার টাকাসহ মনোনয়নপত্র দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দিতে হবে।

এর আগে গত সপ্তাহে বিএনপি মহাসচিব গণমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, ‌‘স্থায়ী কমিটির বৈঠকে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে।’ তবে আজ (শনিবার) রাতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে শুধু মনোনয়নপত্র বিক্রি ও তা জমা দেয়ার তথ্য জানানো হয়।

বৈঠকে অংশ নেয়া একজন স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘ম্যাডাম বলেছেন, ডিএনসিসির প্রার্থী নিয়ে এখনই আলাপ নয়। আরও দু’দিন যাক।’

গুলশান কার্যালয়ের একটি সূত্র জানায়, ১৫ জানুয়ারি মনোনয়ন জমা নেয়ার পর রাতে অনানুষ্ঠানিক আরও একটি বৈঠক করতে পারেন বেগম জিয়া। সে দিনই দলীয় প্রার্থী বা জোটের প্রার্থীর চূড়ান্ত করে রাখবেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

অবশ্য আগে থেকেই বিএনপি বলে আসছে, ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ প্রার্থী ঘোষণা করার পর বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা করবে। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে স্থায়ী কমিটির কোনো সদস্যের কাছে প্রার্থী নিয়ে মতামত জানতে চাননি খালেদা জিয়া। এর আগে গত সপ্তাহে জোটের শরিকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে খালেদা জিয়ার উপর প্রার্থী চূড়ান্ত করার দায়িত্ব দিয়েছেন জোটের শীর্ষ নেতারা।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দলীয় ফোরামে মেয়র প্রার্থী হিসেবে দু’জনের নামই ঘুরে ফিরে আসছে। তারা হলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর ছেলে তাবিথ আউয়াল ও দলের বিশেষ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন। তবে কে হচ্ছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী তা এখনও স্পষ্ট নয়।

এদিকে ১৮ জানুয়ারি ইসিতে ডিএনসিসির মেয়র পদে উপ-নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। এর আগেই বিএনপি মনোনীত চূড়ান্ত প্রার্থীকে ১ লাখ টাকা জামানত এবং ২৭ হাজার টাকায় ভোটার তালিকার সিডিসহ মনোনয়নপত্র কিনতে হবে। অর্থাৎ, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কথা মতো (আরও দু’দিন যাক) দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হলে ইসির বেধে দেয়া সময়ের আগেই জানা যাবে কে হচ্ছেন বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের প্রার্থী।

উৎসঃ   jagonews24

দল যাকে মনোনয়ন দেবে মেনে নেব: বেবি নাজনীন

সৈয়দপুরের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে চান বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সংগীতশিল্পী বেবি নাজনীন। তাই দল যাকেই মনোনয়ন দেবে তার পক্ষেই তিনি কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন।

শনিবার দুপুরে বিএনপির কর্মীসভায় অংশ নিতে ঢাকা থেকে নীলফামারীতে যান বেবি নাজনীন। পথে সৈয়দপুর জেলা বিএনপি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

বেবি নাজনীন বলেন, অতীতের ভুল-ভ্রান্তি সংশোধন করে এবং সব ধরনের দলীয় কোন্দল মিটিয়ে আমাদের প্রমাণ করতে সৈয়দপুর বিএনপি’র ঘাঁটি।

তিনি বলেন, ২০১৮ হচ্ছে নির্বাচনের বছর। এবারের নির্বাচন হবে চ্যালেঞ্জের নির্বাচন। একদিকে জনগণ অন্যদিকে ক্ষমতাসীনরা। তাই জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সকলকে সাথে নিয়ে কাজ করতে হবে। আমাদের বিজয় অবশ্যই হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বড় দলে ছোটখাট সমস্যা থাকতেই পারে। আর এসব সমস্যা সমাধান করে সৈয়দপুর বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ করতে তিনি কাজ করে যাবেন।

আগামীতে আন্দোলন ও নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়ার জন্য দলের সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বানও জানান জনপ্রিয় এই কন্ঠশিল্পী।

মতবিনিময়কালে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ওবায়দুর রহমান, একেএম এহসানুল হক, প্রভাষক শওকত হায়াৎ শাহ, শামসুল আলমসহ বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, শ্রমিক দলসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।

ঢাকাটাইমস

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin