mirja-fakhrul

দিনে ‘হুমকি’ রাতে ‘ক্ষমা প্রার্থনা’

দিনের বেলা সরকার ফেলে দেয়ার হুমকি দিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রাতেই সরকারের এক প্রভাবশালী মন্ত্রীকে ফোন করে ‘ক্ষমা’ চাইলেন। বললেন, ‘কিছু উচ্ছশৃঙ্খল ছেলেপেলে বাড়াবাড়ি করেছে। এটা নিয়ে আর হৈ চৈ করার দরকার নেই। যা হবার হয়ে গেছে। আমি সরি, কথা দিচ্ছি আর হবে না। কিছু ইনোসেন্ট ছেলেকে মামলায় জড়ানো হয়েছে। প্লীজ দেখবেন’।

গত বৃহস্পতিবার যুবদলের এবং জামাতের একদল উচ্ছশৃঙ্খল কর্মী ১১টি বাসে আগুন দেয়। রাজধানীতে দিনে দুপুরে বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নতুন করে রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ভিডিও ফুটেজ দেখে ইতোমধ্যে ৪২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একাধিক মামলায় আসামী হয়েছেন প্রায় দুইশ জন। সরকার এই বাসে অগ্নি সংযোগের ঘটনায় কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী এই ঘটনার সংগে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন।

গতকাল (রোববার) জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধুর উপর জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধুর উপর আলোচনাতেও প্রধানমন্ত্রী এ প্রসংগে কথা বলেন। অন্যদিকে এই ইস্যুর পর বিএনপিও আন্দোলনের কর্মসূচী ঘোষণা করে। তারা উপ-নির্বাচনে কারচুপি এবং হয়রানিমূলক মামলার প্রতিবাদে দুই দিনের কর্মসূচী ঘোষণা করে।

বৃহস্পতিবার বাসে আগুনের পরপরই মির্জা ফখরুল এই ঘটনার জন্য সরকারকে দায়ী করেছিলেন। তিনি এই ঘটনার পর প্রতিবাদ কর্মসূচীতে রুদ্র মূর্তিতে আসেন। সরকারকে বিদায় হতে বলেন। রোববার মির্জা ফখরুল বলেছিলেন, ‘এই সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে। এই সরকারকে বিদায় করে জনগণের সরকার আনতে হবে।’ কিন্তু রাতেই তিনি ফোন করেন সরকারের এক প্রভাবশালী মন্ত্রীকে। ঐ মন্ত্রীর সংগে তার ঘনিষ্ঠতার কথা সকলে জানে। সম্প্রতি ঐ মন্ত্রীর করোনা পরীক্ষায় ‘পজিটিভ’ রিপোর্ট আসে।

বিএনপি মহাসচিব তার শরীরের খোঁজ খবর নিয়ে মামলা প্রসংগে আসেন। জানা গেছে মূলত সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে অনুরোধ করতেই ফোন করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি (ফখরুল) বলেন জাহাঙ্গীরের লোকজন উত্তেজিত হয়ে এসব হয়তো করেছে। কিন্তু এটা পার্টির ডিশিসন না। বিএনপি এটা করেনি। বিএনপি এ রকম করতে চায় না।’

ঐ মন্ত্রীকে ফখরুল এটাও বলেন যে, ‘যারা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আমরাই ব্যবস্থা নিচ্ছি। এটা নিয়ে আর অশান্তি কইরেন না। লেটস ক্লোজ দিস চ্যাপ্টার। আমি ক্ষমা প্রার্থী।’ ফখরুল বলেন, ‘এখন ছেলে-পেলেদের এ্যারেস্ট করলে দলে প্রতিক্রিয়া হবে। তখন আমার কন্ট্রোল করা ডিফিক্যাল্ট হবে।’ ফখরুল বলেন, ‘ভবিষ্যতে এ ব্যাপারে আমরা সচেতন থাকবো।’ এর জবাবে ঐ মন্ত্রী কি বলেছেন, তা অবশ্য জানা যায়নি।

বাংলা ইনসাইডার

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin