তৃতীয় শক্তির ভারতের মন জয়ের চেষ্টা

ড. কামাল হোসেন এবং ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী ভারতীয় দূতাবাসের দুজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার আলাদা আলাদাভাবে ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাঁদের বৈঠক হয়। এসব বৈঠকে দুই নেতাই তাঁদের ঐক্য প্রক্রিয়া ও তৃতীয় শক্তির ব্যাপারে ভারতীয় দূতাবাস কর্মকর্তাদের অবহিত করেন।

একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে, আজ সন্ধ্যায় বারিধারায় বিকল্প ধারা বাংলাদেশ প্রেসিডেন্ট ও যুক্তফ্রন্টের আহ্বায়ক বি. চৌধুরীর বাসভবনে ভারতীয় দূতাবাসের দুই কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রথম বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। আর আজ রাতে গুলশানের একটি বাড়িতে দুই দূতাবাস কর্মকর্তার সঙ্গে দ্বিতীয় বৈঠকে বসেন ড. কামাল হোসেন।

পৃথক পৃথক বৈঠক হলেও ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে ড. কামাল এবং বি. চৌধুরীর বক্তব্য ছিল অভিন্ন। দুই নেতাই, তাঁরা কী করতে যাচ্ছেন এ সম্পর্কে ভারতীয় দূতাবাসকে অবহিত করেন। তাঁরা মনে করেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এই দুই দলের কারণেই বাংলাদেশে প্রতিহিংসা ও ধ্বংসাত্মক রাজনীতির উত্থান হয়েছে। একদল যখন আরেক দলকে পরাজিত করে তখন তারা প্রতিহিংসার রাজত্ব কায়েম করে। সেই জায়গা থেকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বাইরে একটি তৃতীয় শক্তির উত্থান এবং ব্যালান্স অব পাওয়ার দরকার বলে ভারতীয় দূতাবাস কর্মকর্তাদের জানান দুই নেতা।

দূতাবাস কর্মকর্তাদের সঙ্গে পৃথক পৃথক বৈঠকে ড. কামাল ও বি. চৌধুরী তৃতীয় শক্তির উত্থানে ভারতের সহযোগিতা চেয়েছেন। দুই নেতাই কূটনীতিকদের বুঝিয়েছেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে যদি একটি তৃতীয় শক্তির উত্থান ঘটে তা হবে ভারতের জন্যও ইতিবাচক। দুই নেতাও এও বলেছেন, বর্তমান সরকার যে ভারতনীতিতে এগুচ্ছে সেই নীতির সঙ্গে তাঁদের কোনো বিরোধ নেই। তাঁরা শুধু বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়ণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তবে দুই নেতার বক্তব্যের বিষয়ে ভারতের দুই কূটনীতিক কোনো মন্তব্য করেননি বলেই জানা গেছে। তাঁরা শুধু নেতাদের বক্তব্য শুনে গেছেন।

নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, দুটি বৈঠকের মূল বিষয় ছিল, আওয়ামী লীগ-বিএনপির বাইরে যে তৃতীয় শক্তি হচ্ছে তাতে যেন ভারত সহযোগিতা করে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনেও যেন সমর্থন দেয় ভারত। তবে ড. কামাল ও বি. চৌধুরীর বিষয়ে ভারত কোনো সমর্থন দেবে কিনা সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু এখনো জানা যায়নি।

বাংলা ইনসাইডার/

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin